বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার হলদোয়ানি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। সোমবার বিকেলের ঘটনা।
প্রেমকুমার রবিদাস নামে ওই যুবকের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকায়। তার কাছ থেকে রায়গঞ্জের ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রেমকুমার হলদোয়ানি শহরে একটি গয়নার দোকানের কাজ করত। প্লাস্টিকের বিভিন্ন ঘরোয়া সামগ্রীর ফেরির ব্যবসাও করে সে। এদিন প্রেমকুমারকে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, আজ বুধবার ওই কিশোরীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করার জন্য আদালতে পাঠানো হবে। সে পরিবারের লোকজনের কাছে যেতে চাইলে আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। না হলে তাকে কোনও সরকারি হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ অগস্ট বছর সতেরোর ওই কিশোরী স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয়। তারপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। ওই কিশোরীর বাবার দাবি, সে দিনই প্রেমকুমার তাঁকে ফোন করে দাবি করে সে তাঁর মেয়েকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে রয়েছে। পরক্ষণেই কিশোরী তাঁর বাবাকে ফোন করে জানায়, প্রেমকুমার তাকে মালদহ ও বিহারে নিয়ে যাচ্ছে। এর পরেই তিনি প্রেমকুমারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত প্রেমকুমার ওই কিশোরীকে নিয়ে হলদুয়ানিতে রয়েছে। এর পরেই রবিবার রায়গঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল হলদোয়ানির উদ্দেশে রওনা হয়।
পুলিশের দাবি, মোবাইলের মাধ্যমে প্রায় দেড় মাস আগে প্রেমকুমারের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২৬ অগাস্ট প্রেমকুমার রায়গঞ্জে এসে ওই কিশোরীকে ফোন করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। সেই মতো দুপুরে ওই কিশোরী রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে প্রেমকুমারের সঙ্গে দেখা করে। তখন প্রেমকুমারের তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রায়গঞ্জ থেকে ট্রেনে চাপিয়ে বারসই নিয়ে যায়। সেখান থেকে অন্য ট্রেনে চেপে মালদহ হয়ে নৈনিতালে নিয়ে যায় তাকে। সেখানেই মেয়েটিকে বিয়ে করে হলদোয়ানিতে বাড়ি ভাড়া করে বাস করছিল সে। ওই কিশোরী এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তার বক্তব্য, যা বলার, সে পুলিশকে বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy