হাইটেনশন বিদ্যুতের লাইনের জন্য চাষের জমিতে বিদ্যুতের টাওয়ার বসানো হলেও কৃষকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন শামুকতলা থানার ভাটিবাড়ি ও কুমারিজান এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার জেরে ওই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় এই ওই দুই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে, কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুতের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনে সামিল হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শামুকতলা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসকের কাছে দাবি পত্র দিয়েছেন। এর পরেই মহকুমা শাসক আগামী ৯ মে পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
মহকুমা শাসক নিখিল নির্মল বলেন, “গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে আগামী ৯ মে পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জটিলতা কাটাতে আগামী ৯ মে আলিপুরদুয়ার ২ বিডিও অফিসে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
অসমের বঙ্গাইগাঁও থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ২১৮ কিমি ৪০০ কেভি লাইনের কাজ দু’বছর আগে শুরু হয়েছে। যদিও ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার বিরোধ দেখা দেওয়ায় জটিলতা দেখা দেয়। যদিও ওই বিদ্যুৎ সংস্থা গ্রামবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভাটিবাড়ি এলাকার কৃষক অমিত অধিকারী, উত্তম অধিকারী, পীযূষকান্তি দাসদের অভিযোগ, “ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সরকারি নির্দেশিকা দেখানো হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত সকলকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও সমতা নেই। এর আগে যে এলাকাগুলিতে কাজ হয়েছে, সেখানে অনেক বেশি হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।” তাঁদের অভিযোগ, উর্বর জমি নষ্ট হয়ে গেলেও, কৃষকদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে পুলিশ দিয়ে জোর করে কাজ করা হচ্ছে।
তৃণমূল যুব নেতা রানা পাল বলেন, “গ্রামবাসীদের বঞ্চিত করা চলবে না। আমরা চাই গ্রামবাসীদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।” যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ম্যানেজার অরিন্দম দাস বলেন, “সরকারি নিয়মে ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। সেটা দেওয়া হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার পরে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা আগেই ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। সে কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy