Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

ঘর কম, শিক্ষকের অভাবেও ধুঁকছে ক্ষুদিরাম কলেজ

পড়ুয়ার সংখ্যা চার হাজার তিনশো হলেও ক্লাস ঘরের সংখ্যা মাত্র ২৩। তাই প্রতিদিন কোনও মতে ঠাসাঠাসি ক’রে বসেই পঠনপাঠন চালাতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। শিক্ষকের সংখ্যাও পড়ুয়ার তুলনায় নেহাতই কম। দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে গ্রন্থাগারিকের পদও।

রাজু সাহা
শামুকতলা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৪ ০২:০২
Share: Save:

পড়ুয়ার সংখ্যা চার হাজার তিনশো হলেও ক্লাস ঘরের সংখ্যা মাত্র ২৩। তাই প্রতিদিন কোনও মতে ঠাসাঠাসি ক’রে বসেই পঠনপাঠন চালাতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। শিক্ষকের সংখ্যাও পড়ুয়ার তুলনায় নেহাতই কম। দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে গ্রন্থাগারিকের পদও। এই বেহাল পরিকাঠামো নিয়েই চলছে কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজ।

কুমারগ্রাম তো বটেই, কোচবিহার জেলার বক্সিরহাট ও আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের ছাত্রছাত্রীদেরও একমাত্র ভরসা কামাখ্যাগুড়ি শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজ। ১৯৯৬ সালে তৈরির পর ৯৮ সালে সরকারি অনুমোদন পেয়েছিল এই কলেজটি। কিন্তু ১৬ বছরেও তৈরি হয়নি উপযুক্ত পরিকাঠামো। কলেজে স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র দশ জন। রয়েছেন ১৩ জন আংশিক সময়ের শিক্ষক ও ছ’জন অতিথি শিক্ষক। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্কৃত, দর্শন ও শারীরশিক্ষায় কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই ইংরেজি বিভাগে আরও চার জন, ইতিহাস বিভাগে আরও তিন জন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দু’জন স্থায়ী শিক্ষক থাকার কথা। কলেজের গ্রন্থাগারিকের পদও দীর্ঘ দিন ধরে খালি পড়ে রয়েছে।

পড়ুয়ার চাপে প্রতি বছর অতিরিক্ত ভর্তি নিতে হয় বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। অথচ প্রয়োজনীয় ক্লাস ঘর নেই। ঠাসাঠাসি করে প্রতিদিন ক্লাস হলেও, পরীক্ষার সময় বিপাকে পড়তে হয় পড়ুয়াদের। সমস্যা মেটাতে প্রতি বেঞ্চে তিন জন করে পরীক্ষার্থীকে বসানো হয়। তাতেও স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় আগের কয়েক বছর মাঠে প্যান্ডেল তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। পাশের একটি স্কুলেও গত বছর পরীক্ষার্থীদের বসানো হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, গত বছরের মতো এ বারেও ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কায় পাশের একটি স্কুলঘরে সাড়ে তিনশো ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আড়াই বছর আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ কলেজের ঘরের সমস্যা মেটাতে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও, বরাদ্দ অর্থ মেলেনি বলেই অভিযোগ।

কলেজ পরিচালন সভাপতি শুক্লা ঘোষ বলেন, “সারা বছর কোনও ভাবে ক্লাস চালানো গেলেও ক্লাসঘরের ঘাটতি থাকায় প্রতি বছরই পরীক্ষার সময় সমস্যায় পড়তে হয়।” কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের সাফেলি বলেন, “সমস্যা তো রয়েইছে, তবে পঠন পাঠনে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। আশ্বাসও মিলেছে।”এ দিকে কলেজের তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদ সাধারণ সম্পাদক বিকাশ মল্লিক জানালেন, শিক্ষক ও ক্লাসঘরের সমস্যা মেটাতে শীঘ্রই শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।

গণ-মঞ্চের স্মারকলিপি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি দখল রুখতে ও পুকুর ভরাট বন্ধের দাবিতে উত্তর দিনাজপুর জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিল এসইউসি প্রভাবিত সংগ্রামী গণমঞ্চ। সংগঠনের তরফে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি দুলাল রাজবংশী জানান, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্তাদের নজরদারির অভাবে একশ্রেণির বাসিন্দা রায়গঞ্জ ও গোয়ালপোখর ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মন্দির, মসজিদ, শ্মশান ও কবরস্থানের জমি দখল করছে। বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

khudiramcollege shamuktala rajusaha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy