Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

প্রশিক্ষণ না-থাকলেও টেট, নির্দেশিকা বদল করছে রাজ্য

শুধু প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক বছর প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদেরও ওই পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ায় রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সর্বশেষ নির্দেশিকাটি বাতিল করা হবে। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হবে এবং তাতে প্রশিক্ষিত ও প্রশিক্ষণহীন, দু’ধরনের প্রার্থী নিয়োগের সংস্থানই থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সব শিবিরের ধারণা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৯
Share: Save:

শুধু প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক বছর প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদেরও ওই পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ায় রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সর্বশেষ নির্দেশিকাটি বাতিল করা হবে। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হবে এবং তাতে প্রশিক্ষিত ও প্রশিক্ষণহীন, দু’ধরনের প্রার্থী নিয়োগের সংস্থানই থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সব শিবিরের ধারণা।

স্কুলশিক্ষকের পদে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য অন্য কিছু রাজ্য কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেলেও বাংলাকে সেই অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গে প্রশিক্ষিত প্রার্থী দিয়েই শূন্য শিক্ষক-পদ পূরণ করতে হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের জারি করা সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-এর নিয়ম মেনেই প্রাথমিক শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) হবে। যার অর্থ, কেবল শিক্ষকতার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরাই টেট-এ বসতে পারবেন। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগের মেয়াদ আরও কিছুটা বাড়ানোর জন্য রাজ্যপাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত সকলেই দিল্লিতে তদ্বির-তদারক করে যাচ্ছিলেন। চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্র সেই ছাড় মঞ্জুর করায় রাজ্যের ফেব্রুয়ারির নির্দেশিকাটি বাতিলের তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। শুক্রবার টেট নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের ছাড় পাওয়ায় টেট নিয়ে ফের একটি নির্দেশিকা জারি করা হবে।

যদিও কবে তা হবে, নিয়োগ পরীক্ষাই বা কোন সময়ে হতে পারে, তার কিছুই চূড়ান্ত হয়নি বলে শিক্ষা দফতরের খবর। ওই দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সব দিক বিবেচনা করে দিনক্ষণ ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। পুরভোটের আগে কি টেট-এর দিন জানানোর সম্ভাবনা আছে?

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কমিশন জানিয়েছে, ভোটের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না। তবে পরীক্ষা হতেই পারে। যদিও এত দ্রুত পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয় বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর। পর্ষদ-সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমরা ২০১২-য় টেট নিয়েছি। পরীক্ষার নিয়ম কী, কীসের ভিত্তিতে কী ভাবে প্রার্থী বাছাই করতে হবে ইত্যাদি আইন আমাদের জানা। পরীক্ষার তোড়জোড় করতে তাই কোনও সমস্যা হবে না।’’

প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামো নিয়ে এ দিনই আলোচনায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যের যে-সব স্কুলে সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের টাকায় অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ, শৌচাগার ইত্যাদি গড়ে তোলার কথা, সেই কাজ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্কুলগুলিতে বিদ্যুদয়নের কাজ সম্পন্ন করতে হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy