Advertisement
১২ জানুয়ারি ২০২৫

এনপিআর ‘মায়ামৃগ’,পথেই বাম প্রতিবাদ

গোটা দেশে আগামী ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এনপিআর-এর কাজ শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

সিপিআইয়ের প্রতিবাদ সভা। —নিজস্ব চিত্র।

সিপিআইয়ের প্রতিবাদ সভা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৪৮
Share: Save:

জাতীয় নাগরিকপঞ্জিরই (এনআরসি) প্রথম ধাপ জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি (এনপিআর), এই যুক্তি দেখিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের কড়া বিরোধিতার কথা জানিয়ে দিল বামেরা। তাদের অভিযোগ, দেশ জুড়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে পড়ে বিজেপি সরকার প্রতি দিন মানুষকে ‘বিভ্রান্ত’ করার চেষ্টা করছে। কলকাতায় শুক্রবার মহামিছিল থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর-এর প্রতিবাদ হবে বলে ঘোষণা করেছেন বাম নেতৃত্ব।

গোটা দেশে আগামী ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এনপিআর-এর কাজ শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার আগেই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেরলে বাম-শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, তাঁদের প্রশাসন এনপিআর-এর কাজ করবে না। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মঙ্গলবার আলিমুদ্দিনে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা কথায় কথায় যে রামায়ণের কথা বলেন, সেখানেই সীতাহরণের আগে মায়ামৃগের কাহিনি আছে। এনআরসি-র আগে এনপিআর হল সেই মায়ামৃগ! এনপিআর-এর জন্য প্রথমে যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, সেখানে বলা ছিল ওই তথ্যপঞ্জির ভিত্তিতেই এনআরসি হবে।’’ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, ‘‘এনপিআর করে এনআরসি-র রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে। নোট বাতিলের মতো এটাও সব দিক থেকে ধোঁকা! কিন্তু মানুষ এখন সব ধরে ফেলেছেন। সরকারকে ঘোষণা করতে হবে, এনআরসি বাতিল।’’

সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, দেশে আদম সুমারির কাজ হচ্ছে ১৮৭১ সাল থেকে। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল রাখতে জনগণনার ফর্‌ম-এ নতুন কিছু স্তম্ভ যোগ করা যেতেই পারে। কিন্তু এনপিআর-এর মাধ্যমে দেশবাসীর সম্পর্কে তথ্য বাছাই করে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা এনআরসি-র দিকে যেতে চান— এমনই মনে করছেন বাম নেতৃত্ব। পাশাপাশিই সেলিমের দাবি, ‘‘এ রাজ্যে এনপিআর-এর কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে পরিষ্কার করে ঘোষণা করতে হবে, এনপিআর হচ্ছে না।’’

সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত শুক্রবারের মিছিলে বামেদের সঙ্গেই থাকবে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র দলের জনপ্রতিনিধি ও সর্ব স্তরের নেতা-কর্মীদের ওই মিছিলে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনও এ দিন রাজ্যের লড়াকু সমস্ত ছাত্র ও যুব, সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল সংগঠনকে মিছিলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য’ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন লিবারেশন নেতৃত্ব। নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে এ দিনই ঢাকুরিয়ায় প্রতিবাদ-সভা করেছে সিপিআই ও তাদের নানা শাখা সংগঠন।

অন্য বিষয়গুলি:

CAA CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy