কুলতলির মৈপীঠে ফের বাঘের ভয়! —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলির মৈপীঠে ফের বাঘের ভয়। রবিবার সকালে নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয়রা। সেই পায়ের ছাপ দেখে তাঁদের দাবি, ঠাকুরান নদী পেরিয়ে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে ঢুকেছে দু’টি ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে। এলাকায় পৌঁছেছেন বন দফতরের কর্মীরা। লোকালয় লাগোয়া অঞ্চলকে কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী বলেন, “ইতিমধ্যেই প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা ঘেরা হয়েছে। বাঘ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
মৈপীঠে বাঘের আতঙ্ক অবশ্য নতুন নয়। গত ৬ জানুয়ারি বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্ত পল্লি ও কিশোরীমোহনপুর এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন গ্রামবাসীরা। পরে বনকর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। পায়ের ছাপ অনুসরণ করে নদীবাঁধ সংলগ্ন বনসৃজন প্রকল্পের বাদাবনে ঢুকতেই শোনা যায় গর্জন। গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, মৃত একটি গবাদি পশুকে নদীর পারে ফেলা হয়েছিল। সম্ভবত সেই ‘টানেই’ বাঘ খাঁড়ি টপকে গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় আসে। ৮ তারিখ ভোরে বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের পাশে মাকড়ি নদীর পারে ম্যানগ্রোভের ঝোপে ফের দেখা যায় বাঘের পায়ের ছাপ। স্থানীয়দের একাংশের দাবি মোতাবেক, রাতে আবার আজমলমারির জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে গ্রাম লাগোয়া বাদাবনে ঢুকে পড়েছে বাঘ। শ্রীকান্ত পল্লি-কিশোরীমোহনপুর এলাকার পর বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বৈকুণ্ঠপুর পঞ্চায়েতেরই নগেনাবাদে।
লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বার বার বাঘ চলে আসায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। জঙ্গলের পাশেই তাঁদের বসবাস। রুজিরুটির জন্য তাঁদের জঙ্গলেও যেতে হয়। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জঙ্গল সংলগ্ন গোটা লোকালয় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার দাবি জানাচ্ছেন। এ ছাড়া নদীবাঁধ সংলগ্ন রাস্তায় যাতে আলো লাগানো হয়, তারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy