ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র
মন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর যাঁর হাতে, তৃণমূলের আইটি টিমে জায়গা পেলেন না তিনি! দলের বৈঠকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজেই সেই টিমে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব তা সরাসরি খারিজ করে দেওয়ায় নানা জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। মন্ত্রী নিজে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমার কিছু বলার নেই।’’
প্রচার কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে দলীয় বিধায়কদেরও সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতো বিধায়কদের নিজের কেন্দ্রে নির্দিষ্ট কর্মসূচি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়। সেই সূত্রেই মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্যবাবু জানান, দলের এই প্রচার-টিমে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। কী ভাবে যুক্ত হতে পারেন, তা-ও জানতে চান রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তবে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার প্রয়োজন নেই।
ব্রাত্যবাবুর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে কয়েক বছর তৃণমূলের প্রচারের কাজে ব্রাত্যবাবুর মতো বিশিষ্টেরা ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। রাজনৈতিক মত জোরদার হলেও দলীয় ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে থাকা ব্রাত্যবাবুর মতো ব্যক্তিত্বকে সরাসরি প্রত্যাখ্যানের কারণ নিয়ে নানা ব্যাখ্যাও ঘুরছে দলের ভিতরে। তৃণমূল সরকারের গোড়ায় শিক্ষার মতো দফতর পেলেও ক্রমশ গুরুত্বের বিচারে ছোট হয়েছে ব্রাত্যবাবুর জায়গা। দফতরে সময় না দিয়ে নাটক-সিনেমায় ব্যস্ত থাকার কথাও উঠেছে তাঁকে নিয়ে। দলের এক শীর্ষ নেতা অবশ্য বলেন, ‘‘মন্ত্রীদের অনেক কাজ থাকে। সম্ভবত সে কারণেই তাঁকে যুক্ত করা হয়নি। প্রয়োজন হলে তিনিও কাজ করবেন।’’
আরও পড়ুন: রথ না-হলে হবে কী, জল্পনা
পিকে’র টিম অবশ্য তৃণমূলের প্রচারের জন্য তাঁদের আইটি টিমকে নতুন করে সাজাচ্ছে। বিধানসভা কেন্দ্র পিছু এই টিম সাজাতে বিধায়কদের কাছে যে লোক চাওয়া হয়েছে, তার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযুক্তি পরিচয় থাকাও আবশ্যিক করে দেওয়া হয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ ও তার পরে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামে যে দু’টি কর্মসূচি টিম পিকে নিয়েছে, তা জাতীয় স্তরে যে কোনও প্রচারের সমগোত্রীয় বলে তাদের দাবি। এবং তাদের মতে, ওই কর্মসূচি প্রত্যাশামতো প্রভাবও ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহণে ‘সেরা’ বন্দর হলদিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য দলের সঙ্গে টিম পিকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। বিজেপি যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে, তার পাল্টা হিসেবে একেবারে পেশাদারি পরামর্শেই এগোচ্ছে তৃণমূল। এবং তার পরিকল্পনা ও পরিচালনাও চলছে কেন্দ্রীয় ভাবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy