Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Mamata Banerjee

কাউকে গৃহচ্যুত করে খনি হবে না: মুখ্যমন্ত্রী

গত বছরই মহম্মদবাজারের ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি মৌজার মাটির নীচে সঞ্চিত প্রায় ২১০ কোটি টন কয়লা একক ভাবে তোলার অধিকার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

দয়াল সেনগুপ্ত
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৮
Share: Save:

কাউকে গৃহচ্যুত করে বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি হবে না বলে ফের আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কাউকে গৃহহীন করে কয়লাখনি হচ্ছে না। কাউকে গৃহচ্যুত হতে দেব না।’’

গত বছরই মহম্মদবাজারের ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি মৌজার মাটির নীচে সঞ্চিত প্রায় ২১০ কোটি টন কয়লা একক ভাবে তোলার অধিকার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। খনি গড়ার দায়িত্বে থাকা নোডাল এজেন্সি রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের (পিডিসিএল) মনোনীত সংস্থার কর্মীরা ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলিতে সামাজিক প্রভাব সমীক্ষা করছেন। তার রিপোর্ট এ দিনই পিডিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি বি সেলিম মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১০০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এ রাজ্যকে কারও মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না। হবে প্রচুর কর্মসংস্থানও। প্রশাসনও বারবার বলেছে, সমীক্ষা মানেই কয়লাখানি গড়া নয়। এটা প্রাথমিক ধাপ। কিন্তু, এত সবের পরেও স্থানীয় মানুষের মনে কিছু দোলাচল তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার কী শর্তে জমি নেবে, উচ্ছেদ হতে হলে কোথায় যেতে হবে— এমন নানা প্রশ্ন কাজ করেছে স্থানীয়দের মধ্যে। খনি গড়ায় আপত্তি তুলছেন এলাকার আদিবাসীদের একাংশ। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা ভয় কাটাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও অমিত শাহের সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা

আরও পড়ুন: ছোট সমস্যায় এ বার ‘পাড়ায় সমাধান’

সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী এ দিন পরামর্শ দিয়েছেন, এলাকায় কৃষিজমি ও বসতভিটের বাইরে যে জমি খালি পড়ে রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে প্রথম পর্বে খনি গড়ার কাজ শুরু করতে। তিনি বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত খনি এলাকায় যে অংশ খালি আছে, ধানখেত, বসতভিটা বাদ দিয়ে কাজ শুরু করা যায় কি না, দেখুন।’’ মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘‘দক্ষ কর্মীদের পাশাপাশি খনিপ্রকল্পে কাজ লাগানো হবে স্থানীয়দেরই। পরের ধাপে বা যখন প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন, তখন এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী ও অন্যান্যরা যাতে জমি ও চাকরি থেকে বঞ্চিত না হন, সেটা আমরা দেখব।’’ বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত মালিকাধীন জমি ছাড়াও প্রস্তাবিত খনি এলাকায় অনেকটাই খাস জমি রয়েছে। সেটার পরিমাণ ৫০০ একরের বেশি। জেলাশাসক বিজয় ভারতী উঠে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘মোট ১৬টি গ্রামের মধ্যে তিন গ্রাম বাদে অন্য অংশে কোনও সমস্যা নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Deucha Panchami Coal Mine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy