— ছবি সংগৃহীত
নির্বাচনী জোট তো নয়ই, বরং ত্রিপুরায় সিপিএমের ঘর থেকে লোক নিয়ে সংগঠন বাড়াতেও পিছপা হবে না তৃণমূল কংগ্রেস৷ আগরতলায় গিয়ে সিপিএম নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে আসার আহ্বান জানিয়ে এই বার্তাই স্পষ্ট করে দিলেন দলের নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷
ত্রিপুরায় তৃণমূল গত কয়েক দিনে যত বার গেরুয়া আক্রমণের মুখে পড়েছে, সিপিএম তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেখান থেকেই দু’দলের জোট বাঁধার সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নানা মহলে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সে সম্ভাবনায় দু’দিন আগেই অনেকটা জল ঢেলে দিয়েছেন। আর ব্রাত্য শুক্রবার বলেছেন, ‘‘সিপিএম নেতা-কর্মীদের জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ত্রিপুরার সিপিএমের ফারাক রয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে সিপিএম নেতারা এখনও মাটি-মানুষের কাছাকাছি রয়েছেন। তাই তাঁদের ডেকে আনতে সমস্যা নেই।’’
ব্রাত্যের ওই আহ্বানকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ। তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা এখানে এসে এক এক সময় এক এক কথা বলছেন। তৃণমূলই তো ত্রিপুরায় বিজেপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছে! তাঁদের বিধায়কেরাই গেরুয়া ঝান্ডা নিয়েছিলেন তখন। সিপিএমের কেউ কারও আহ্বানে সাড়া দেয়নি, দেবেও না।’’
বিজেপি-বিরোধী অবস্থান থেকে ত্রিপুরায় আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ও বামেদের জোট হতে পারে কি না, এই প্রশ্নে এ দিনই কলকাতায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘তৃণমূল ওখানে ২০২৩ সালে কতটা গুরুত্ব দিয়ে লড়বে, কে কী ভাবে বলতে পারে! গঙ্গা দিয়ে কত জল গড়াবে! এখন এই নিয়ে কথা বলে কী হবে?’’ ইয়েচুরিও উল্লেখ করেছেন, গত বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতারা বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন আবার শাসক বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের একাংশ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আর অন্য দিকে, গত তিন বছর ধরেই রাজ্যে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছেন ও গেরুয়া আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
ব্রাত্যের উপস্থিতিতে এ দিন বিলোনিয়া জেলা যুব কংগ্রেস সহ-সভাপতি অরিজিৎ চক্রবর্তী, সেবা দলের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু পাল-সহ কংগ্রেসের কিছু নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে, এই অভিযোগ এনে আগরতলায় এ দিন বড়সড় মিছিল হয় বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চার ডাকে। ব্রাত্যের প্রশ্ন, ‘‘কোভিড-বিধির দোহাই দিয়ে রাজ্য সরকার আমাদের সংগঠিত হতে দিচ্ছে না। অথচ বিজেপির এত বড় মিছিলের অনুমতি কী করে মিলল? এটা গণতন্ত্র হতে পারে না!’’ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, শান্তনু সেনেরা এ দিন আগরতলায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের নিয়ে সংগঠন বিস্তারের কৌশল বুঝিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy