Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Blast in Duttapukur

দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে বাজির কারবার চলছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশ উদাসীন ছিল বলে অভিযোগ।

photo of Duttapukur blast

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণে লন্ডভন্ড এলাকা। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দত্তপুকুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৩
Share: Save:

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সোমবার ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রবিবার সকালে নীলগঞ্জেই বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে বাজির কারবার চলছিল। এই ঘটনায় পুলিশ উদাসীন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যদিও সোমবার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত আড়াই-তিন মাসের মধ্যে এই এলাকায় অনেক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার পরও এই ঘটনা ঘটেছে, যা দুর্ভাগ্যজনক।’’

রবিবার সকালে বারাসত সংলগ্ন দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিস্ফোরণের ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ’ এবং ‘নিছক দুর্ঘটনা নয়’ বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল বোস। অন্য দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার নগরপালকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজ্যপুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয় এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর ছিল, মমতা ওই বৈঠকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন দুই পুলিশ প্রধানকে। এমনকি, রাজ্যে আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি যে ক্ষুব্ধ, তা-ও জানিয়েছিলেন। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কিছুটা কম হবে। কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।’’ তবে দত্তপুকুর নিয়ে কিছু বলেননি।

এই ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলি ওরফে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘‘এফআইআরে চার জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেরামত আলি, রবিউল আলি, শামসুল আলি মৃত। বাকি এক জন রমজান আলিকে আমরা খুঁজছি। তিনি আইএসএফের ব্লক পর্যায়ের নেতা।’’ যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের বক্তব্যের ভিত্তিতে আইএসএফের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, সোমবার ঘটনাস্থলে যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন দুই আধিকারিক। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। একই দাবি জানিয়েছে আইএসএফ-ও। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এখনও এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Blast police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy