রাত ৯টা নাগাদ এক বন্ধুকে ফোন করে সাজিদুল বলেন, ‘‘আমাদের বাঁচা!’’ সেই সঙ্গে গ্রামে পুলিশ নিয়ে আসার অনুরোধও করেন। ওই বন্ধুর দাবি, সাজিদুলের সঙ্গে সেই শেষ বার কথা হয়েছে তাঁর। এর পর পরিবার বা সাজিদুলের বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
মর্জিনা বিবি এবং কাজি সাজিদুল রহমান। —নিজস্ব চিত্র।
বগটুই গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূ মর্জিনা বিবিকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন কাজি সাজিদুল রহমান। যদিও সাজিদুলের বাবা কাজি নুরুল জামালের দাবি, রামপুরহাট-কাণ্ডে নিহতদের মধ্যে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ রয়েছেন। বীরভূমেরই নানুরের বাসিন্দা কাজি নুরুল। তাঁর দাবি, সদ্যবিবাহিত ওই দম্পতির ঘরে অগ্নিসংযোগ করে তাঁদের খুন করা হয়েছে।
ওই পরিবারের দাবি, গত ১৮ জানুয়ারি সাজিদুলের সঙ্গে ২১ বছরের মর্জিনা বিবির বিয়ে হয়। নানুরের দান্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৩১ বছরের সাজিদুল সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ নানুরের বাড়ি থেকে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের উদ্দেশে স্ত্রীকে আনতে রওনা হয়েছিলেন। দুপুর ১২টা নাগাদ বগটুইয়ে পৌঁছন তিনি। রাত ৯টা নাগাদ এক বন্ধুকে ফোন করে সাজিদুল বলেন, ‘‘আমাদের বাঁচা!’’ সেই সঙ্গে গ্রামে পুলিশ নিয়ে আসার অনুরোধও করেন। ওই বন্ধুর দাবি, সাজিদুলের সঙ্গে সেই শেষ বার কথা হয়েছে তাঁর। এর পর পরিবার বা সাজিদুলের বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ সংবাদমাধ্যমে রামপুরহাট-কাণ্ডের কথা জানতে পারে সাজিদুলের পরিবার।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুন করা হয়। তার পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই। পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ভাদুর খুনে যারা অভিযুক্ত, তাদের বাড়ি পশ্চিমপাড়ায়। রাতে ওই গ্রামের বহু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। যার জেরে শিশু-সহ অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। সাজিদুলের পরিবারের দাবি, নিহতদের মধ্যে নবদম্পতিও রয়েছেন। নুরুল বলেন, ‘‘ওদের দু’জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy