ফাইল ছবি
স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করে আগেও একবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল শিক্ষা দফতর। বুধবার কার্যত সেই একই কথা বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের পদক্ষেপ একটা অসুখকে ঢাকতে আরেকটা অসুখকে ডেকে আনার মতো কাজ। এই পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি যে হবে না সেই প্রতিশ্রুতি কে দেবেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচারাধীন থাকাকালীন এক বার সরকার এই ধরনের পোস্ট তৈরি করার কথা জানিয়েছিল। সেই সময়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই পদ তৈরি করা বিভ্রান্তিমূলক। সরকারের এই পদক্ষেপের আদালতের চোখেও কোনও গুরুত্ব নেই বলেও তিনি জানান। রাজ্য যে প্রায় ৬৮০০ পদ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছিল তারও বিরোধিতা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা। তাঁদের মতে, মোট যত চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, তার তুলনায় এই পদ কিছুই নয়। উল্টে অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের একাংশকে চাকরির টোপ দিয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা চলছে।
এ দিন রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে জানান, যাঁরা চাকরি না পেয়ে অসন্তুষ্ট, তাঁদের দাবি ন্যায্য হলে তাঁদের চাকরি দেওয়ার জন্য সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি অনুপ গুপ্ত নামে শিক্ষক পদের এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছেন হাই কোর্টে। সেই মামলাতেই এ কথা জানান সরকারি কৌঁসুলি। এই মামলায় ইতিমধ্যেই সিদ্দিক গাজী নামে এক শিক্ষকের চাকরি খারিজ করেছেন বিচারপতি মান্থা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মামলায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এ দিন বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, সিদ্দিক গাজীর নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটির নথি সিবিআইয়ের কাছে পাঠাতে হবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy