Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশের হাত শক্ত করে নয়া নির্দেশ নবান্নের

পুলিশ মহলের ব্যাখ্যা, সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় যে-সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, ১৮৬৭ সালের ‘সরাই অ্যাক্ট’ তার অন্যতম।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩৫
Share: Save:

এত দিন যে-ক্ষমতা ছিল কলকাতা পুলিশের, এ বার থেকে প্রায় সেই ক্ষমতাই ভোগ করবে বিভিন্ন জেলার পুলিশ কমিশনারেটও। সাম্প্রতিক এক নির্দেশিকায় সব ক’টি পুলিশ কমিশনারেটকেই এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে আগের থেকে হাত আরও বেশি শক্ত হল পুলিশের।

পুলিশ মহলের ব্যাখ্যা, সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় যে-সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, ১৮৬৭ সালের ‘সরাই অ্যাক্ট’ তার অন্যতম। এই আইনের আওতায় এত দিন পর্যটকদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হোটেল, গেস্ট হাউস বা কোনও বাড়ির মালিককে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হত। এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা-বলে এই আইনের প্রয়োগ করতে পারেন জেলাশাসকও। এ বার এই লাইসেন্স নিতে হবে পুলিশ কমিশনারেট (যে-সব এলাকা কমিশনারেটের অন্তর্গত) থেকে। এই আইন-বলে প্রয়োজন হলে এই ধরনের যে-কোনও হোটেল, গেস্ট হাউসে তল্লাশি চালাতে পারবে কলকাতা ও জেলার সব কমিশনারেটের পুলিশ। প্রয়োজনে কোনও অপরাধী বা সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করতে পারবে তারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং বিভিন্ন হোটেলে তাদের থাকা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজ্যের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রবীণ আমলাদের অনেকেই।

প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘যে-কোনও পুলিশ কমিশনারেটের এই ক্ষমতা থাকা উচিত। নইলে তাকে পুলিশ কমিশনারেটই বলা যায় না। সরকার পুলিশ কমিশনারেটের সংখ্যা ক্রমশ বাড়াচ্ছে, তাই তাদের হাতে এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাও থাকা জরুরি।’’ অন্য এক কর্তা জানান, এর আগে নতুন কমিশনার নিয়োগের সঙ্গেই তাঁকে এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হত। এ বার তা স্থায়ী ভাবে দেওয়া হল। সরাই আইন তাতে নতুন সংযোজন।

প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, সাম্প্রতিক অতীতে ভাটপাড়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পরিবর্তে ১৪৪ ধারা জারি করেছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক। নয়া ব্যবস্থায় এমন ধারা প্রয়োগ করতে পারবে কমিশনারেটই।

সাধারণ নিয়মে জেলাশাসকই এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ভোগ করেন। কলকাতায় যে-হেতু জেলাশাসক নেই, তাই এখানে এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের হাতে ন্যস্ত রয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে অন্তত ছ’টি জেলায় পুলিশ কমিশনারেটের তৈরি হয়েছে। সেখানে এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাধারী জেলাশাসকেরাও আছেন। প্রশাসনের একটি মহলের মতে, এর ফলে একাধিক ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রয়োগ ঘিরে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তা যাতে আর না-হয়, সেই জন্যই সরকারের এই পদক্ষেপ। এক কর্তার কথায়, ‘‘এ বার থেকে কমিশনারেটের নির্ধারিত এলাকায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনারই এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna West Bengal Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy