প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে ‘প্রত্যাশিত’ ফল হয়নি কেন, শাসক দলের তরফে তা নিয়ে ময়না-তদন্ত হয়েছে। এবং তার পর থেকে ওই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ক্ষোভ-অসন্তোষ যদি কিছু থেকে থাকে, তাতে মলম লাগানোই লক্ষ্য।
সেই জন্য বাস পরিষেবা বাড়ানোর পাশাপাশি এ বার ‘জঙ্গলমহল’ নামে আস্ত একটি ডিভিশনই খুলতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা এসবিএসটিসি। নতুন ডিভিশনের জন্য কিছু কর্মী নিয়োগও করবে পরিবহণ দফতর। তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে পরিবহণ সূত্রের খবর। অর্থাৎ জঙ্গলমহলের মন পেতে জোড়া ভেট— যাতায়াতের অসুবিধা যথাসম্ভব দূর করতে পর্যাপ্ত বাস আর স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের অধীনে এখন রয়েছে বেলঘরিয়া ও দুর্গাপুর ডিভিশন। দু’টি ডিভিশন মিলিয়ে ডিপোর সংখ্যা ১৪। সেই তালিকায় এ বার সরাসরি সংযোজিত হচ্ছে জঙ্গলমহল ডিভিশন।
৯ অগস্ট ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনেই তাঁর ‘জঙ্গলমহল’ ডিভিশনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করার কথা আছে। জঙ্গলমহল ডিভিশনের সদর দফতর হওয়ার কথা ঝাড়গ্রামে। ডিভিশনটি তৈরি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামের ২৪ ব্লককে ঘিরে। সেখানে ২০০টি বাস যাতায়াত করবে। ৯ তারিখে প্রথম পর্যায়ে ২৪টি বাসের সূচনা হবে। পর্যায়ক্রমে বাসের সংখ্যা বাড়াবে পরিবহণ দফতর। জঙ্গলমহল ডিভিশনে কত কর্মী কাজ করবেন, কেমন হবে ডিপোর চেহারা, সেখানে ক’টি ডিপো থাকবে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে ডিভিশনের ছবিটা স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন পরিবহণকর্তারা। পুরনো কর্মী কিছু থাকবেনই, সেই সঙ্গে কিছু নতুন নিয়োগও হবে।
সেই নিয়োগে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষ বলেন, ‘‘বাইরের লোক গেলে সেখানে তাঁদের যাতায়াতে সমস্যা হবে। তার বদলে স্থানীয় লোকজন নিলে সুবিধা হবে কাজে।’’ পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, স্থানীয় লোকজনকে নেওয়া হবে চুক্তির ভিত্তিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy