—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
অনেকগুলি শর্ত পূরণ করতে না পারায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের কাছে মোটা টাকা জরিমানা চেয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। এই কলেজগুলির তালিকায় রয়েছে নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজ কিংবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো নামজাদা প্রতিষ্ঠানও। এনআরএস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকাঠামোগত শর্ত পূরণ করতে না পারায় তাদের কাছে জরিমানা বাবদ ২৪ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হাসপাতালটির কাছে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা হিসাবে চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কোথাও জরিমানার এই অঙ্ক ২ লক্ষ, তো কোথাও ২৪ লক্ষ!
দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো যথাযথ অবস্থায় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সমীক্ষা চালায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। স্বশাসিত এই সংস্থা সম্প্রতি এই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও পরিকাঠামোর হাল খতিয়ে দেখে। রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই। চিকিৎসক এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীর হাজিরার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নেই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থাও। অথচ এই বিষয়গুলি নিয়ে আগেই মেডিক্যাল কলেজগুলিকে যত্নবান হতে বলেছিল কমিশন। অভিযোগ, তার পরেও এই শর্তগুলি পূরণ করেনি রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ। নির্দিষ্ট পোর্টালে তাই এই অংশগুলি ফাঁকাই রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
ওই সূত্র মারফতই জানা গিয়েছে, জরিমানার অঙ্কের নিরিখে এনআরএস শীর্ষে। তবে জরিমানা যাতে না দিতে হয়, তার জন্য পুনরায় আবেদন করার পথে হাঁটতে চলেছে এই রাজ্যে কমিশনের শাস্তির মুখে পড়া মেডিক্যাল কলেজগুলি। কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পুনরায় কমিশনের কাছে আর্জি জানাতে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। আপাতত সেই টাকা দিয়ে পরিকাঠামো নতুন করে খতিয়ে দেখার আর্জি জানাতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজগুলি।
মেডিক্যাল কমিশন সূত্রে খবর, বারংবার বলার পরেও পরিকাঠামোগত ন্যূনতম শর্তগুলি পূরণ না হওয়ায় এ বার বড়সড় পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছিল তারা। এমনকি, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডাক্তারির নির্ধারিত আসন কমিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কিন্তু স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট হয়ে গিয়েছে। সেই পরীক্ষা ঘিরে অনিয়ম সত্ত্বেও নিট এখনও পর্যন্ত বাতিল হয়নি। বুধবারই কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নিটের কাউন্সেলিং শুরু করতে চায় তারা। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারির পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আপাতত আসন কমানোর পথে হাঁটতে চাইছে না কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy