নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের উদ্যোগে করোনা রোগীদের জন্য সেফ হোম চালু হল।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের উদ্যোগে করোনা রোগীদের জন্য সেফ হোম চালু হল। রবিবার সূচনা হয়েছে ওই সেফ হোমের। মঙ্গলবার থেকে সেখানে রোগী ভর্তি শুরু হয়ে যাবে। তবে কারা সেখানে থাকবেন, সেই বিষয়ে রামকৃষ্ণ মিশন কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। সেটি ঠিক করা হবে স্থানীয় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার মাধ্যমে। মিশনের সেক্রেটারি স্বামী সর্বলোকানন্দ জানিয়েছেন, রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা— সবই হবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম মেনে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো অসুস্থদের প্রোটিনযুক্ত আমিষ খাবারও মিলবে। সর্বলোকানন্দ বলেন, “সেফ হোমটি মিশনের গৌরাঙ্গ ভবনে। সেখানে করোনা পরিস্থিতির আগে ছাত্রদের হোস্টেল ছিল। তাই আমিষ খাবারেরও কোনও সমস্যা নেই। এখানকার ছাত্রদেরও নিয়মিত আমিষ খাবারই দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো করোনা রোগীদেরও মাছ, মাংস, ডিম দেওয়া হবে।”
নরেন্দ্রপুরের ওই সেফ হোমে মোট ১২৫ জন রোগীর থাকার ব্যবস্থা থাকছে। থাকছে প্রাথমিক চিকিৎসা ও অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থাও। কোনও করোনা আক্রান্ত বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। সর্বলোকানন্দ বলেন, “এখানে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা থাকছে। আইসোলেশনের পাশাপাশি কারও অক্সিজেন প্রয়োজন হলে সেটাও দেওয়া যাবে। তবে চিকিৎসকরা যদি মনে করেন, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, তখন তারও ব্যবস্থা করা হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে যাতে ব্যবস্থা করা যায় সেটা স্বাস্থ্য দফতর দেখবে বলে জানানো হয়েছে।”
মূলত রামকৃষ্ণ মিশন ও স্থানীয় পুরসভার উদ্যোগে হলেও এই সেফ হোম পরিচালনার ক্ষেত্রে কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মাই চিলড্রেন ফাউন্ডেশন’-সহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাও যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়াও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভানুধ্যায়ী ও প্রাক্তনীদের সহযোগিতাও ওই সেফ হোম চালু করার পিছনে রয়েছে। উদ্বোধনে যেমন হাজির চিলেন মিশনের প্রাক্তন ছাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy