Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
CBI

NARADA SCAM: আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই ফিরহাদ-সুব্রত, ‘আমরা খারাপ শুভেন্দুরা ভাল’, বললেন মদনেরা

সোমবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে ওই চার জনকে নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের দিকে রওনা দেয় সিবিআই। মিনিট দশেকের মধ্যেই পৌঁছে যায়।

জেলে ঢুকছে ফিরহাদ হাকিমের গাড়ি।

জেলে ঢুকছে ফিরহাদ হাকিমের গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২১ ০১:৩৬
Share: Save:

সোমবার মাঝরাতেই নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসা হল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। মধ্যরাতে শরীর খারাপ হওয়ায় মদন এবং শোভনকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দেওয়া ওই চার জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ সোমবার রাতেই খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওই চার নেতার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই সোমবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে ওই চার জনকে নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের দিকে রওনা দেয় সিবিআই। সঙ্গে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। মিনিট দশেকের মধ্যেই কড়া নজরদারিতে ধৃতদের নিয়ে আসা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।

৩০ থেকে ৪০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের নিরাপত্তায় নিজাম প্যালেসের পিছনের গেট দিয়ে বার করা হয়েছিল ওই চার নেতাকে। কনভয়ের সামনে কলকাতা পুলিশের গাড়ি, মাঝখানে ওই চার নেতার গাড়ি। চার জনকেই চারটি আলাদা গাড়িতে নিয়ে আসা হয় জেলে। রাতেই ফিরহাদদের আলাদা আলাদা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলের বাইরেই রয়েছেন ওই চার জনের পরিবারের সদস্যরা।

জেলে রওনা দেওয়ার আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফিরহাদের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কেঁদে ফেলেন মন্ত্রী ফিরহাদ। তিনি বলেন, “বিজেপি সব কিনে নিতে পারে। এর পর হয়তো ইডি লাগাবে। আমি জনপ্রিয়। হাজার হাজার লোক আমার জন্য এসেছে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমায় নিয়োগ করা হয়েছিল। কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে দিল না এরা। বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা আছে আমার।”

সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে মদন বলেন, “আমরা ছাড়া শুভেন্দু-মুকুল ভাল। বাড়িতে আমার স্ত্রী কোভিডে আক্রান্ত। সেই অবস্থাতেই ২০-৩০ জন সিবিআই আধিকারিক আমার বাড়িতে ঢুকে পড়েন।”

সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বলার কিছু নেই মানুষ সবই দেখছে।”

শোভন বলেন, “আমি কোনও অন্যায় করিনি। সিবিআই বেডরুমে হানা দিয়েছে। আমরা ডাকাত নই।”

রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যান ফিরহাদের স্ত্রী। ছিলেন শোভনের ছেলে। শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কান্নায় ভেঙে পড়ে বৈশাখী বলেন, “এরা মানুষের মতো না, পশুর মতো আচরণ করছে। ওঁর সুগার ৫৫০। ওঁর সিওপিডি আছে।” পরে তাঁকে শোভনের ওষুধ নিয়ে জেলের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।

ভোররাত পর্যন্ত চাঞ্চল্য জেলের বাইরের চত্বরে। প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য লম্বা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে সেখানে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE