অভিযুক্ত মোহিতকুমার বর্মাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
ভরসন্ধ্যায় জনবহুল রাস্তায় এক যুবতীর উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালালেন তাঁর স্বামী। শনিবার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে নলহাটি থানার পুলিশ। ছুরির ঘায়ে আহত যুবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কী কারণে যুবতীর উপর হামলা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের নলহাটিতে রামমন্দিরের সামনে শাকিলা খাতুন নামে এক যুবতীর উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর স্বামী মোহিতকুমার বর্মা। শাকিলাকে গুরুতর জখম অবস্থায় রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শাকিলা মুরারই থানার বিরোলি গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার কলকাতায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে ট্রেনে করে নলহাটি স্টেশনে নেমে রামমন্দিরের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় তাঁর উপর হামলা হয়। শাকিলার দু’হাত, পা এবং পেটে আঘাত লেগেছে। হামলার পর এলাকার লোকজনই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্তকে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিলার দাবি, কলকাতার বাসিন্দা মোহিতের সঙ্গে মাস দুয়েক হল বিয়ে হয়েছে তাঁর। বিয়ের পর থেকেই জুয়া খেলার জন্য বার বার তাঁর কাছে টাকা চাইতেন মোহিত। টাকা না পেলে খুনের হুমকিও দিতেন। শাকিলার দাবি, মোহিত কোনও কাজকর্ম না করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে থাকতেন। তা নিয়ে সংসারে নিয়মিত অশান্তি লেগেই থাকত। শনিবার ভরসন্ধ্যায় তাঁর উপর হামলা চালান মোহিত। শাকিলার কথায়, ‘‘কলকাতায় শ্বশুরবাড়িতে থাকার সময় গত ৩ দিন ধরেই আমাকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল। জুয়া খেলার জন্য বার বার টাকা চাইত। এর আগে দু’বার ভাইয়ের কাজ থেকে টাকা চেয়ে এনে ওকে দিয়েছি। শনিবার সন্ধ্যায় একটা দোকানের কাছে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে আমার গলায় চাকু চালিয়ে দেয়। আটকাতে গেলে আমার দু’হাতে, পায়ে আর পেটে আঘাত করে। ওর ব্যাগে পিস্তলও ছিল।’’
এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে নলহাটি থানার পুলিশ। রামপুরহাট মহকুমার এসবিপিও ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি বিষয় খতিয়ে দেখতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy