মাস দু’য়েক আগে ধরা পড়েছিল শিষ্য। এবার ধরা পড়ল গুরু। নদিয়ার তেহট্ট এলাকার চারটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুখু শেখ ওরফে মিনহাজকে গ্রেফতার করল ডোমকলের পুলিশ। সোমবার দুখু গ্রেফতার হওয়ার পর তেহট্ট ও ডোমকলের সীমান্ত এলাকা যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে দুখুর বাড়ি বাংলাদেশে। সেখানে একাধিক খুনের ঘটনা ছাড়াও জলদস্যু ও অপহরণের মামলায় জড়িত ছিল সে ও তার দলবল। বাংলাদেশে পুলিশ-প্রশাসনের চাপে পড়ে এদেশে পাকাপাকি ঘাঁটি গাড়ে দুখু। বিয়ে করে স্থায়ী বাসিন্দা হয় ডোমকলের কামুড়দেয়াড় এলাকায়। তার সাঙ্গোপাঙ্গরাও এদেশে বিয়ে করে স্থায়ী ডেরা বাধে। এক সময় নদিয়ার ফাজিলনগর এলাকা ও মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকায় মাওবাদীদের উৎপাত বেড়েছিল। সেই সময় দুখু বলে এক জনের নাম শোনা যেত। সেই দুখু এই দুখু কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই দুখু নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকায় মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করত বলে পুলিশ জানে। জেলার এক পুলিশ কর্তার কথায়, “এরা কেবল একটা রাজনৈতিক দলের নয়, স্থানীয় ভাবে কখনও শাসক আবার কখনও বিরোধী দলের হয়ে লড়াই করেছে।” মাস দু’য়েক আগে দুখুর ডানহাত বলে পরিচিত আলামিল ওরফে সুমন শেখ ধরা পড়ার পর থেকে দুখু হোগলবেড়িয়া এবং বেলডাঙা এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকত। ডোমকলের এসডিপিও অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় এই দুখুর দলবল ডোমকল এলাকায় নানা রকমের গণ্ডগোল পাকানোর পরিকল্পনা করছিল বলে খবর আসে আমাদের কাছে। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয় দুখুর সঙ্গী আলামিন ওরফে সুমন। তাকে জেরা করে দুখুর খবর পাই।” দুখুকে গ্রেফতার করার সময় তার কাছ থেকে হেরোইন মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। দুখুর গ্রেফতারে সীমান্ত এলাকায় সমাজবিরোধী কার্যকলাপ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী। ঘোড়ামারা এলাকার প্রাক্তন প্রধান আমজাদ আলি বলেন, “এই এলাকার যাবতীয় সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত এই দুখু ও তার পান্ডারা। এখানে অপরাধমূলক কাজ করে নদিয়া আবার নদিয়ায় কিছু একটা হলে ডোমকলএভাবেই ঘুরে বেড়াত। পুলিশ দুখুকে ধরে বড় উপকার করল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy