প্রতীকী ছবি
মহারাষ্ট্র থেকে নদিয়ায় ফিরে নিভৃতবাস কেন্দ্রে গিয়ে লালারস পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিপোর্ট আসার তর সয়নি। মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকায় বিয়েবাড়ি খেতে চলে যান তিনি। রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে সেখান থেকে ধরে এনে তাঁকে কৃষ্ণনগরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই জেলায় কারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তার তালিকা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই কী করে এক করোনা সন্দেহভাজন অবাধে ঘুরে বেড়ালেন, সেই প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না।
তেহট্ট ২ ব্লক ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই মহারাষ্ট্র থেকে পলাশিপাড়ার রুদ্রনগর কদমতলা পাড়ায় ফিরেছিলেন ওই যুবক। আশাকর্মীদের ব্যবস্থাপনায় ৭ জুলাই পলাশিপাড়ায় নিভৃতবাস কেন্দ্রে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, ৯ জুলাই তিনি নওদার পাটিকাবাড়িতে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে যান। শুক্রবার রাতে তাঁর করোন রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তার পরেই নদিয়া থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা নওদা থানার পুলিশের সাহায্যে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করান।
শনিবার নওদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুকেশ সিংহ জানান, যেহেতু ওই যুবক পাটিকাবাড়ির বাসিন্দা নয় তাই এখনই সেখানে কনটেনমেন্ট জ়োন করা হচ্ছে না। আপাতত ওই যুবকের প্রাথমিক সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করছেন স্থানীয় আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পলাশিপাড়া ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, রুদ্রনগরে ওই যুবকের বাড়ির এলাকা কনটেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত তাঁর পরিবারের কাউকে নিভৃতবাস কেন্দ্রে বা আইসোলেশনে নেওয়া হয়নি।
আগেই প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগে কেউ যেন নিভৃতবাস ছেড়ে বেরিয়ে না যায়। তা হলে, ওই যুবক একেবারে পাশের জেলায় বিয়েবাড়িতে চলে গলেন কী করে? তেহট্ট ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল বিশ্বাসের দাবি, “ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করার পরে তাঁকে কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।“ কিন্তু কোনও নজরদারি ছিল না কেন, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি।
রাতে নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “এ রকম একটা ঘটনা কী করে ঘটল, জানি না। আমি নিজেও তা বোঝর চেষ্টা করছি।“
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy