—প্রতীকী চিত্র।
গত পুরভোটে যে দু’টি আসনে তাদের সমর্থিত নির্দলেরা জিতেছিলেন, সেই দু’টি আসনই এ বার কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে চায় বামফ্রন্ট। তার বদলে চারটি আসনে সরাসরি প্রার্থী দিতে আগ্রহী বামফ্রন্ট। কিন্তু তাতে এখনও রাজি নয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। সম্প্রতি দুই দলের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে এমন কথাই হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই জটেই কান্দিতে আসন রফা নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে রয়েছে বলে দুই দলের অন্দর থেকে জানা গিয়েছে।
২০১৫ সালে কান্দি পুরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল, বামফ্রন্ট ও বিজেপির চতুর্মুখী লড়াই হয়েছিল। এর মধ্যে ১২ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দলেরা দাঁড়িয়ে জেতেন। তৃণমূল তিনটি ও কংগ্রেস ১৩টি আসনে জয়ী হয়। তার পরে কংগ্রেসের ওই ১৩ জনই যোগ দেন তৃণমূলে। কিন্তু বামফ্রন্টের দুই নির্দল দলবদল করেননি। তবে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ওই দুই নির্দল কাউন্সিলরের ওয়ার্ডই কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে চান। তাঁরা চান এ বার ২, ৮, ৯ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে লড়াই করতে।
কংগ্রেসের অন্দরের খবর, যে দু’টি আসনে গতবার তাঁদের সমর্থিত নির্দলেরা জিতেছিলেন, সেই দু’টি ওয়ার্ডই বরং বামফ্রন্ট রাখুক। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস ও তৃণমূল শক্তিশালী। সেখানে বামফ্রন্ট কেন লড়াই করতে চাইছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেস শিবিরে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য কাজল চক্রবর্তী বলেন, “পুরভোটের আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া চলছে। বামফ্রন্ট গত ভাবে চারটি আসন কংগ্রেসের কাছে দাবি করা হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।” কেন তাঁরা জেতা আসনে এ বার প্রার্থী দিতে চাইছেন না, তার উত্তর কাজলবাবু দিতে চাননি।
লোকসভা ভোটে বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস কান্দি পুরসভা এলাকায় সাড়ে ১৪ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিল। বামেদের সমর্থন ছাড়াও বিধানসভার উপ-নির্বাচনে কংগ্রেস সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ভোট লিড পেয়েছিল কান্দি পুরসভা এলাকা থেকে। কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক শফিউল আলম খান বলেন, “তবু আমরা বামেদের সঙ্গে আসন রফা করেই ভোটে লড়াই করতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy