প্রতীকী ছবি
পুর নির্বাচন ঘিরে উৎসাহটা যে কম নয়, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছুক তালিকায় সাধারণের বায়োডেটা জমা দেওয়ার হিড়িক দেখে তা মালুম হচ্ছে। তৃণমূল-বিজেপি-কংগ্রেস, তিন কার্যালয়েই নেতাদের সামনে এলাকার মানুষের বায়োডেটার স্তূপ জমেছে। বহরমপুর থেকে বেলডাঙা, কান্দি থেকে জিয়াগঞ্জ— কম বয়সী তরুণ-তরুণী থেকে নিতান্ত আটপৌরে মাঝবয়সী মহিলা, তালিকা বেশ দীর্ঘ।
বেলডাঙার ১৪টি ওয়ার্ডের জন্য একাধিক নাম এসেছে শহর বিজেপির কাছে। বিজেপির কর্মীদের কাছ থেকে এই নাম নিয়েই চূড়ান্ত প্রার্থী করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেলডাঙা শহর বিজেপির সভাপতি তপন দত্ত বলেন, “প্রার্থী হওয়ার জন্য একাধিক নাম জমা পড়েছে। শহর বিজেপি সেই নামের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে এক জন করে চূড়ান্ত করে জেলার ইলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর চুড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে।” তবে তৃণমূলের মতো লিখিত আবেদন করে নয়। নাম এসেছে কর্মীদের কাছ থেকে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলডাঙা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য তিনটি নাম এসেছে। ৪ নম্বরের জন্য তিনটি, পাঁচ নম্বরের জন্য তিনটি, ৮ নম্বরের জন্য দু’টি, ১৩ নম্বরের জন্য তিনটি নাম জমা পড়েছে।
ছবিটা প্রায় একইরকম মুর্শিদাবাদ পুরসভা ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভায়। মুর্শিদাবাদ পুরসভায় ১৬ ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে মোট ৮০টি বায়োডেটা জমা পড়েছে বলে এ দিন দাবি করেন মুর্শিদাবাদ টাউন বিজেপি’র সভাপতি সৌমেন মণ্ডল। তাঁর দাবি মোট ৮০ জন বায়োডেটা জমা দিয়েছেন। তার মধ্যে ৩০ জন মহিলা ও ৫০ জন পুরুষ মহিলাদের মধ্যে একজন বিজেপি’র কাউন্সিলরও রয়েছেন। সৌমেন বলেন, ‘‘দলের প্রার্থী হতে চেয়ে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। রাজ্য থেকে নেতারা এসে মুর্শিদাবাদ পুরসভায় সার্ভে করে গিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বই প্রার্থী ঠিক করবেন।’’ জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভায় বিজেপির তরফে এখনও বায়োডেটা জমা নেওয়া শুরু হয়নি। জিয়াগঞ্জ টাউন বিজেপি-র সভাপতি প্রতাপ হালদার বলেন, ‘‘আমরা লোকসভা ভোটে যা ফল করেছি তাতে অনেকেই যে প্রার্থী হতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক।’’ বহরমপুর পুরসভার ভোটে লড়াই করতে চেয়ে তৃণমূল বা কংগ্রেসের মতো সরাসরি বায়োডেটা জমা না দিলেও বিজেপিও স্বচ্ছ মুখের খোঁজে মাঠে নেমে পড়েছে বলে খবর। পুরভোটে লড়াইয়ের কৌশল ঠিক করতে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর বর্তমানে বিজেপি নেতা কাঞ্চন মৈত্রকে পর্যবেক্ষক করে বহরমপুরের ২৮টি ওয়ার্ডেই প্রচার শুরু করেছে তারা। জেলা বিজেপি কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের পড়ুয়া থেকে চিকিৎসক অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়ে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দলের পর্যবেক্ষক কাঞ্চন মৈত্র বলেন “সামাজিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy