বাড়িতে ছবি। নিজস্ব চিত্র
গ্রামের এক মহিলা বাড়িতে একাধিক ভূত পোষেন! শান্তিপুরের আরবান্দি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট জিয়াকুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের এ হেন ‘অভূতপূর্ব’ অভিযোগ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। গত রবিবার সেখানে ভূতে বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী পক্ষের মারপিটে জখম হয়েছেন আট জন। তাঁদের শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিন জনকে কল্যাণী জেএনএমে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ না হলেও গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ছোট জিয়াকুর গ্রামের কিছু লোক বলে বেড়াচ্ছিলেন, স্থানীয় বাসিন্দা ছায়া রাজোয়াড়ের বাড়িতে কিছু ভূত পুষেছেন। যেখানে-সেখানে পাঠিয়ে অপকম্ম করাচ্ছেন! তাঁদের দাবি ‘কুসংস্কার’ বলে পাল্টা প্রচার চালাচ্ছিলেন অন্য অংশ। গত রবিবার ভূত বিশ্বাসী পক্ষ অভিযোগ আনে, পাশের গ্রাম ডোমখিরার এক বালিকা ওই ভূতেদের পাল্লায় পড়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাঁরা ওঝা ডাকেন। তখনই শুরু হয় গোলমাল ও মারপিট।
ছায়া বলেন, “আমার বৌমাকে ওরা মারে। এলাকার যাঁরা প্রতিরোধ করতে এসেছিল, তাঁদের উপরে লাঠি আর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়।’’ সোমবার হাসপাতালে শুয়ে আহত দেবকী রায়, সুন্দরা মণ্ডলেরা বলেন, “গ্রামেরই কিছু লোক প্রচার করছিল, ছায়া রাজোয়াড়ের বাড়িতে ভূত পোষা হয়। বিরোধিতা করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের কোপ মারা হয়।”
যাঁদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তাঁদের অনেকেও আহত। তাঁদেরই এক জন জনতা রাজোয়ার বলেন, “আমরা প্রথমে গোলমাল করিনি। ওরাই বরং আমাদের উপরে হামলা করেছে।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন রায়ের কথায়, “ভূত-টুত নয়, আসলে এক শিশুকে মারধর করা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল কিছু দিন আগে। তার জেরেই রবিবার মারামারি হয়েছে।” আর শান্তিপুরের বিজ্ঞানকর্মী তথা শান্তিপুর বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “সচেতনতার অভাবে এই ঘটনা। কুসংস্কার-বিরোধী প্রচার চালানো জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy