—প্রতীকী চিত্র।
চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ের কাজে নামলেন এলাকারই দোকান মালিকেরা৷ আর তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
এমন ঘটনা দেখা গেল ভগবানগোলা এক নম্বর ব্লকের সুবর্ণমৃগীর চার নম্বর মহিষস্থলী পঞ্চায়েত এলাকায়। ২০টিরও বেশি দোকানমালিক নিজেদের চাঁদা দিয়ে শুরু করলেন রাস্তা তৈরির কাজ।
চার বছরেরও বেশি সময় হয়েছে, রাস্তার মেরামত হয়নি। বরং হয়ে উঠেছে আরও খারাপ। পঞ্চায়েতের প্রধান, সদস্য অনেককে বলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই রাস্তা দিয়ে অনবরত যাতায়াত করছে লরি, টোটো থেকে সমস্ত যানবাহনই।
স্থানীয় সারফিয়া হাই মাদ্রাসাতেও অনেকে পড়তে যায় এই রাস্তার উপর দিয়ে হেঁটে। বৃষ্টি হলে সমস্যা হয় তাদেরও। প্রায় এক হাঁটু জল পার করে যেতে হয় তাঁদের। টোটোচালকরাও অসুবিধায় পড়েন। তাই সকল দোকানদাররা একত্রিত হয়ে ইট ভাটা থেকে রাবিশ এনে, তা ফেলেই রাস্তা মেরামত করছেন।
স্থানীয় দোকানদার আজিজুল হক বলেন, ‘‘প্রায় চার বছর হয়ে গেল রাস্তার হাল খারাপ। প্রধান, মেম্বার সবাইকে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই নিজেরাই চাঁদা তুলে ভাটা থেকে রাবিশ এনে রাস্তায় ফেলছি। বিধায়ককে এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল আগে কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি।’’
এই রাস্তা জেলা পরিষদের অধীনে। জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য আবার স্থানীয় বিধায়কও। তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিধানসভায় রয়েছেন বলে জানান।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সাবির আহমেদ বলেন, ‘‘বিধায়ক তদারকি করছেন রাস্তাটির জন্য। আমরাও চেষ্টা করছি রাস্তাগুলো যাতে ভাল করা যায়।’’ তবে বিডিও নয়না দে জানান, তিনি এই বিষয়ে অবগত নন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy