কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
উপাচার্য না থাকলে যে সঙ্কট তৈরি হতে পারত, আপাতত তা থেকে মুক্তি। মঙ্গলবার রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে ইস্তফা দেওয়ার পরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তিন মাস অথবা নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ‘সার্চ কমিটি’ নতুন উপাচার্য নির্বাচন করবে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে বৈঠকের পর ইস্তফা দেন ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তার মধ্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানসকুমার সান্যালও ছিলেন। ২০২০ সালে তদানীন্তন রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়াই আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কল্যাণীতে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্ন ছিল। তার জেরে উপাচার্যকে পদ থেকে সরতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সঙ্কট তৈরি হত। বেতন দেওয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ, প্রশাসনিক কাজকর্মে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারত।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে এখন স্নাতকস্তরের তৃতীয় সিমেস্টার চলছে। এপ্রিলে স্নাতকস্তরের প্রথম সিমেস্টার হওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দু’লক্ষ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসছে। এপ্রিলে স্নাতকোত্তর স্তরে তৃতীয় সিমেস্টারও হওয়ার কথা রয়েছে।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পাশাপাশি সহ-উপাচার্য পদও রয়েছে। উপাচার্য না থাকলে নতুন উপাচার্য আসা ইস্তক তাঁরই অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য গৌতম পাল বর্তমানে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদেও রয়েছেন। দুই দিকের দায়িত্ব সামলানো তাঁর পক্ষে সহজ হত না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আগের উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষের মেয়াদ শেষের পর ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বরে চার বছরের জন্য উপাচার্য করা হয় বিজনেস ম্যানেজমেন্টের শিক্ষক মানসকুমারকে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়মের তোয়াক্কা না করে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা হয়। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে শুনানি শেষ হয়। এখন রায়দানের অপেক্ষা।
কল্যাণী ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অলক ঘোষ বলেন, “আপাতত সঙ্কট এড়ানো গেল। আদালত কী রায় দেয়, সেটাই দেখার।” কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি তারক দাস বসুর কটাক্ষ, “আইন বহির্ভূতভাবে নিযুক্ত উপাচার্যদের পদত্যাগ করিয়ে তিন মাসের জন্য ‘কেয়ারটেকার’ করা হল। রাজ্যে উচ্চশিক্ষার কী পরিস্থতি!” উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা তা ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy