— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বেপরোয়া ট্রাকের চাকার তলায় পিষে গেলেন প্রৌঢ়। এখানেই শেষ নয়, দেহ প্রায় এক কিলোমিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল ঘাতক ট্রাক। রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্ত, দলা পাকানো মাংস! এর পর স্থানীয়েরা প্রায় এক কিলোমিটার ধাওয়া করে থামালেন ট্রাকটিকে। পলাতক চালক ও খালাসি। বুধবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার করিমপুরে।
দ্রুত প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ দিকে, ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। দমকল ও পুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পলাতক চালক ও খালাসির খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিজন ঘটক (৫৫), তিনি করিমপুর আনন্দপল্লি এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক ধরে একটি ট্রাক মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই প্রৌঢ়। হঠাৎ ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকে ধাক্কা মারে। বাইক-সহ প্রৌঢ় আটকে যান ট্রাকের পিছনের চাকায়। ওই অবস্থাতেই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে ট্রাকটি। ট্রাকের পিছু ধাওয়া করে উত্তেজিত জনতাও। প্রায় এক কিলোমিটার এভাবে যাওয়ার পর করিমপুর ফার্মের মোড় এলাকায় ট্রাকটি রেখে পালিয়ে যান চালক ও খালাসি।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রণয় চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কিলোমিটারখানেক তাড়া করে আমরা ট্রাকটিকে ধরি। দেখা যায়, সেখানেই আটকে রয়েছেন প্রৌঢ়। শরীরে মাংস বলতে কিছু ছিল না। শুধু হাড় ক’টা কোনও মতে লেগে ছিল। ফেরার সময় দেখি গোটা রাস্তা জুড়ে দলা পাকিয়ে রয়েছে রক্ত মাংস।’’ তেহট্ট মহকুমা পুলিশের আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেছেন, ‘‘খবর পেয়েই পুলিশ পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। তার মালিক ও চালকের খোঁজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy