হাসপাতালে যুব তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন পাল। নিজস্ব চিত্র
রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন যুব তৃণমূলের আসাননগর অঞ্চল কমিটির কার্যকরী সভাপতি নিরঞ্জন পাল। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। তবে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাতে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন নিরঞ্জন। ত্রিপুরাপাড়ায় বাড়ির কাছেই তাঁকে ধরে বেধড়ক মারা হয়। লাঠিপেটা করা ছাড়াও মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ভীমপুর থানা থেকে পুলিশও আসে। মাথায় ও হাতে গুরুতর চোট নিয়ে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নিরঞ্জন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আসাননগর শাখায় কাজ করেন। রাতে কাজ সেরে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই হামলা হয়। যুব তৃণমূলের কৃষ্ণনগর-১ ব্লক সভাপতি অলোক বিশ্বাসের অভিযোগ, “বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করার পর থেকেই অত্যাচার শুরু করেছে। ওই বুথের বিজেপি সদস্যই এ বারে প্রধান হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে না এলে নিরঞ্জনকে ওরা মেরেই ফেলত।”
আসাননগর পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দখলে ছিল। এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তৃণমূল ন’টি এবং বিজেপি ১০টি আসনে জয়ী হয়। তৃণমূলের মরিয়া চেষ্টা সত্ত্বেও নিজেদের সমস্ত সদস্যকে ধরে রেখে বোর্ড গড়ে বিজেপি। বোর্ড গঠনের দিনই মারপিট বেধে যাতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছিলেন। তা না হলেও বিকেলে তৃণমূলের এক কার্যালয়ে ভাঙচুর করে নিজেদের পতাকা লাগিয়ে দেয় বিজেপি। সদ্য নির্বাচিত এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীকে বাড়ির সামনেই বেধডক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরে এই হামলা।
বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার অবশ্য দাবি করেন, “আমাদের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এত দিন ওরা সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার করেছে। এ বার মানুষই প্রতিরোধ তৈরি করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy