অভিষেকের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র
এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে তৃণমূলের বিধানসভাভিত্তিক নতুন কমিটি। বহু ব্লকেই ব্লক স্তরের পুরনো নেতারাই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। ফলে নতুনদের সেই পদে আনা যাচ্ছে না। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, দলের মধ্যে বেশি সংখ্যায় নতুন মুখ তুলে আনতে।
বুধবার জেলার বিধায়ক ও দলীয় পদাধিকারী নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে বৈঠকের পর সকলকে জানিয়ে দেওয়া হল সে কথা। এ দিনের বৈঠকে খোদ অভিষেকই জানিয়ে দেন, বিধায়কদের গুরুত্ব দিয়ে দল চালাতে হবে সাংগঠনিক নেতাদের। শুধু তাই নয়, দলের মধ্যে সমন্বয় রেখে চলতে হবে সব নেতাকেই।
শিক্ষা-দুর্নীতি, দলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি, একের পর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা দেওয়ার ঘটনায় দলের ‘অস্বস্তি’ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন অভিষেক যথেষ্ট কড়া বার্তা দিয়েছেন জেলার দলীয় নেতাদের।
মুর্শিদাবাদের দলীয় নেতারা এ দিন তৃণমূল ভবনের বৈঠকে স্পষ্টই বুঝে গিয়েছেন, সংগঠনে অভিষেকের কথার গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি। এ দিনের বৈঠক মূলত ছিল বিধানসভাভিত্তিক ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনার। বিধায়ক ও দলীয় নেতারা একাধিক অনুগতদের নাম জমাদিয়েছেন আগেই।
এ দিনও অনেকে সেই নামই ফের জমা দেন। বহু ক্ষেত্রেই বিধায়কদের দেওয়া নামের সঙ্গে মিল নেই দলীয় নেতাদের পছন্দের নামের। সেই কারণে ফের সমীক্ষা শুরু হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার। গত সপ্তাহে জেলা থেকে একাধিক তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতায় ওই সংস্থার সদর দফতরে। প্রত্যেক নেতাকেই দীর্ঘ ক্ষণ বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। ফের তিনি বিধানসভা ভোটের পর ফিরে আসেন তৃণমূলে। তাঁর কাছে সরাসরি জানতে চাওয়া হয়, কেন তিনি বিজেপিতে গিয়েছিলেন? কেনই বা তৃণমূলে ফের ফিরলেন? তাঁর জবাবে অবশ্য কতটা সন্তুষ্ট হলেন ওই সংস্থার কর্তারা, তা স্পষ্ট বুঝতে পারেননি ওই নেতা নিজেও।
এ দিনের বৈঠকেই দলীয় নেতাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে ব্লক কমিটির দু’জন করে পদাধিকারীর নাম। তার পরে জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যানরা বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা কমিটির নাম পাঠাবেন। সেই নাম খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেওয়া হবে। ঠিকাদারি করেন কিংবা জঘন্য মামলায় অভিযুক্ত কারও নাম যেন দলের তালিকায় না থাকে, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
অভিষেকের কড়া বার্তা, “দলে প্রাধান্য দিতে হবে বিধায়কদের। তাঁদের বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিতর্কিত কাউকে ব্লক সভাপতিও করা যাবে না।” যা ইঙ্গিত, তাতে বিধায়কদের সুপারিশ সত্ত্বেও সাতটি ব্লকে সভাপতির বদল ঘটছে। এঁদের মধ্যে এক মন্ত্রীর ব্লকও রয়েছে। চারটি শহরে বদল করা হবে শহর সভাপতিদের। তৃণমূল সূত্রের ইঙ্গিত তেমনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy