জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। তার সামনেই স্বাস্থ্য দফতরের কিছুটা জমি খালি পড়েছিল। সেই জমির উপর রাতারাতি ঘর তুলে দলীয় অফিস বানিয়ে ফেললেন তৃণমূল কর্মীরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন এই হাসপাতাটি। যদিও এখনও পর্যন্ত তা চালুই করা যায় নি। অথচ ‘রোগী পরিষেবা কেন্দ্র’ নামে তৃণমূলের কর্মীরা রীতিমত একটি অফিস ঘর বানিয়ে ফেললেন সেখানে।
তৃণমূলের সাফাই, জঙ্গিপুর হাসপাতালের সুপারের অনুমতি নিয়েই এই অফিস ঘর তৈরি করেছেন তাঁরা। সুপার শাশ্বত মন্ডলের অবশ্য সাফ জবাব, “অনুমতি দেওয়া তো দূরের কথা, আমি মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি জানতে পারি।’’ তিনি জানিয়েছেন, ঘর তুলতে নিষেধও করা সত্ত্বেও বেআইনি ভাবে ঘর তৈরি হচ্ছে। এত কিছুর পরেও নির্মাণ বন্ধ তো হয়ই নি, বরং বুধবার তড়িঘড়ি পাকা দেওয়ালের উপর টিন চাপিয়ে ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন তাঁরা।
জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “সরকারী পর্যায়ে জরুরী বিভাগের সামনেই ২৪ ঘন্টার রোগী পরিষেবা কেন্দ্র চালু রয়েছে। তবু বাম জমানায় সিপিএম কর্মীরা হাসপাতাল ঢোকার মুখেই গড়ে তুলেছিলেন রোগী সহায়তা কেন্দ্রের আড়ালে সিটুর অফিস। তৃণমূলের অভিযোগেই তা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। পরে চেয়ার টেবিল পেতে কংগ্রেস রোগী সহায়তা চালু করলেও তৃণমূলের অভিযোগেই তা তা তুলে দেওয়া হয়।
জঙ্গিপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মুক্তিপ্রসাদ ধর হাসপাতালের সরকারী জমিতে দলের কর্মীদের ঘর তৈরির কথা জানেন। কিন্তু তাঁর জবাব, ‘‘আমার করার কিছু নেই। কারণ, দলের ওই কর্মীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।” রঘুনাথগঞ্জ শহর তৃণমূলের সভাপতি অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যতদূর জানি, সুপারের অনুমতি নিয়েই দলের ছেলেরা রোগীদের সাহায্য করতে ওই অফিস তৈরি করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy