হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।
ভরতপুরে গোষ্ঠীকোন্দল যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। আবার বিতর্কে স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বের পর এ বার স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়েও ‘বিক্ষুব্ধ’ ভরতপুরের বিধায়ক। শনিবার প্রকাশ্যেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় সরখেলের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান হুমায়ুন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তাতেও গন্ডগোল থামেনি। ওই নিয়ে এখন শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার ভরতপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির গঠন ছিল। সূত্রের খবর, ভোটাভুটিতে সেখানেই ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর কাছে পরাজিত হয় হুমায়ুন গোষ্ঠী। ব্লক সভাপতি সঞ্জয় সরখেলের গোষ্ঠী পায় ১৮টি ভোট। সেখানে হুমায়ুন গোষ্ঠী পায় ১৭টি ভোট। সদস্য হিসেবে ওই ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন হুমায়ুন। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে স্থায়ী সমিতির ভোট প্রক্রিয়া চলে। কিন্তু কেন এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোটপ্রক্রিয়া চলে, তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে শাসকদলের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভরতপুর থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় হুমায়ুনের।
পরে হুমায়ুন বলেন, “যে কোনও নিয়ম নিয়ে যখন তর্কবিতর্ক হয়, তখন এক পক্ষ সঠিক নিয়মটাকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। অন্য পক্ষ সেটাকে অগ্রাহ্য করে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে তর্কবিতর্ক খুবই স্বাভাবিক। এটা হবেই। বিধানসভায় তো অধিকাংশ দিনই তর্কবিতর্ক চলে। ওয়াকআউটও হয়। সেটা হতেই পারে। কিন্তু যেহেতু পুলিশ ঢুকে গিয়েছিল, তাই আমরা প্রতিবাদ করেছি।’’ যদিও ধস্তাধস্তি, মারধর— এ সব কিছুই হয়নি বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy