সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদের জেরেই নওদার টুঙ্গি এলাকায় তৃণমূল নেতা নিমাই মন্ডল খুন হয়েছেন বলে অনুমান করছে পুলিশ। সরাসরি এ ব্যাপারে মুখ না খুললেও পুলিশের একটি সূত্র বলছে, নির্বাচন নিয়ে বিবাদই নিমাইবাবুর অকাল প্রয়াণ ডেকে আনল।
নিমাই মণ্ডল খুন হওয়ার পর, দলের শীর্ষ নেতারা বিরোধীদের দিকে আঙুল তুললেও নিমাইবাবুর স্ত্রী, প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন, দলীয় কোন্দলের জেরেই খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। নিহতের ভাই বাপি মণ্ডলও বার বার অভিযোগ করেছেন, ‘‘টুঙ্গি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের জেরে দাদাকে খুন হতে হয়েছে।’’ নাম জড়ায় দলের অন্য গোষ্ঠীর নেতা তথা সমবায়ের ম্যানেজার আব্দুল লতিফ মণ্ডলের। মঙ্গলবার সমবায় সমিতির ম্যানেজার আব্দুল লতিফ মন্ডলের গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আব্দুল লতিফ মণ্ডল ও তার ছেলে মাসুদ আখতার। উল্লেখ্য টুঙ্গি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির জন্মলগ্ন থেকেই ম্যানেজারের পদে ছিলেন একসময়ের কট্টর সিপিএম কর্মী আব্দুল লতিফ মণ্ডল। মাস ছয়েক আগে তাঁর মেয়াদকাল শেষ হয়। সমবায় দফতরের এক আধিকারিক জানান, গত জানুয়ারি মাসে পরিচালন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। নতুন পরিচালন কমিটি গঠন হওয়ার কথা। কিন্তু রাজনৈতিক জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরনো কমিটির মেয়াদ ছ’মাসের জন্য বর্ধিত করা হয়। পাশাপাশি ম্যানেজার পদে আব্দুল লতিফ মণ্ডলের মেয়াদও বাড়ানো হয়। ইতিমধ্যে নিমাই মণ্ডলের নেতৃত্বে দলেরই ছ’জন কর্মীর নাম দিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়। সেই কমিটির দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় কমিটির নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়।
বাপি মন্ডলের অভিযোগ, সমবায় সমিতির দুর্নীতির বিষয়টি তাঁর দাদা ধরে ফেলেছিলেন। নতুন কমিটি গঠন হলে আব্দুল লতিফের ম্যানেজার পদ চলে যেত। সে জন্যই ওরা দাদাকে সরিয়ে দিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy