প্রতীকী ছবি।
দিন কয়েক আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দলত্যাগী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গুনগান করেছিলেন জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস। তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন এমন জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলের কাছ থেকে বিধানসভার টিকিট চাইলেন বৈদ্যনাথ। শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে বড়ঞা বিধানসভায় লড়াই করতে চেয়ে তিনি দলের কাছে বায়োডেটা জমা দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বৈদ্যনাথ হঠাৎ কী সমীকরণে দলের প্রতি আস্থা রেখে বিধানসভায় লড়াই করতে চেয়ে টিকিট চাইলেন সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে দলের অন্দরেই।
তবে শুক্রবার কলকাতা থেকে বৈদ্যনাথ বলেছেন, ‘‘আমি তো তৃণমূলেই ছিলাম, তৃণমূলেই আছি। তাই তৃণমূলের কাছ থেকে টিকিট চেয়ে বায়োডাটা জমা দিয়েছি।’’
তাঁর দাবি, ‘‘অন্য দলে যোগ দেব এমন কথা কখনও বলিনি। যা সব প্রচার হয়েছে তা সংবাদ মাধ্যম করেছে। আমি দলের বিরুদ্ধে কখনও যাইনি।’’
জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অশোক দাস বৈদ্যনাথের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘বৈদ্যনাথকে নিয়ে কেউ কেউ জলঘোলা করছিল। ও আমাদের দলে ছিল, আছে, থাকবে।’’
মুর্শিদাবাদে ২২ টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। কয়েকদিন আগেই জেলা তৃণমূলের বৈঠক থেকে নেতাদের জানানো হয়, প্রার্থী হতে চেয়ে আপনারা আবেদন করতে পারেন। আপনাদের বায়োডাটা দলে জমা দিন। এর পরে বহরমপুরে জেলা তৃণমূল অফিসে দলের নেতা নেত্রীরা প্রার্থী হতে চেয়ে যেমন বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন, তেমনই অনেকেই কলকাতায় গিয়ে তৃণমূল ভবনে বায়োডাটা ফেলার বক্সে বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন।
সূ্ত্রের খবর, দিন দুয়েক জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাহনাজ বেগম সহ জেলার ২৫ জন মহিলা নেত্রী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য কলকাতায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে বায়োডেটা জমা দিয়েছেন।
জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, ‘‘জেলায় দলের অনেকেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার ক্ষমতা রাখেন। তাঁরা ভোটে লড়াই করতে চেয়ে দলে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy