হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের মুখে বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ভরতপুরের বিধায়ক তৃণমূলের হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যে। পরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে বিতর্ক মেটে। এ বার সেই ইউসুফ পাঠানের জয়ে রেজিনগরে ‘লিড’ নিয়ে সরাসরি বিধায়ক রবিউল আলমের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন হুমায়ুন। শুক্রবার শক্তিপুর থানার নারকেলবাড়ি ফেরিঘাট টোটো ইউনিয়নের উদ্যোগে লোকসভা ভোটে জয়ের পরে বিজয় মিছিল হয়। সেখানে হুমায়ুন বললেন, ‘‘রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ব্যক্তিগত ভাবে রেজিনগরের ভোটারদের থেকে বিছিন্ন। এই লোকসভা ভোটে পুরো বিধানসভা ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ভাবে ভোটারদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেননি।’’ এর পরেই হুমায়ুনের বক্তব্য, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে রেজিনগরের জন্য তিনি দলনেত্রীর কাছে টিকিটের আবেদন করবেন। প্রয়োজনে রবিউল আলম চৌধুরীকে ভরতপুরে পাঠানোর কথা ভাবতে পারে দল। রবিউল এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
শুক্রবার হুমায়ুন কবীর বলেন, “রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী সে ভাবে প্রচার করেননি। আমি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাব যাতে আমাকে এই রেজিনগর বিধানসভায় দলের প্রার্থী হিসাবে লড়াই করার সুযোগ দেওয়া হয়।”
হুমায়ুন বলেন, “যদি আমাকে টিকিট না দেওয়া হয়, তবে আমার পরিবারের কোনও সদস্যকে এই কেন্দ্রে অন্য দলের টিকিটে দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করব। তাঁকে জেতানোর সব চেষ্টা করব। অতীতে এই রেজিনগর বিধানসভার প্রথম নির্বাচনে আমি জিতেছিলাম। পরে আমি তৃণমূল যোগ দিয়েছিলাম বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করি। তারপর নির্দলের হয়ে লড়াই কতটা দিয়েছিলাম এলাকার মানুষ জানে। এলাকার মানুষ আমার সঙ্গে।”
রেজিনগরের বিধায়ক তথা বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয় মিছিল হতেই পারে। তবে ব্যক্তিগত স্তরে কেউ কিছু বললে সেই বিষয়ে আমি কোনও উত্তর দেব না।” শুক্রবার মাণিক্যহার মোড় থেকে মহতপুর পর্যন্ত নারকেলবাড়ি ফেরিঘাট টোটো ইউনিয়নের উদ্যোগে তৃণমূলের জয়ের বিজয় মিছিল হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy