—নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এক পঞ্চায়েত সদস্যের নাবালক সন্তানকে অপহরণের চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে। ওই বিজেপি নেতার পরিবারের দাবি, বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা গুলিও চালায়। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্লকের মনিন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিজেপির দাবি, দুষ্কৃতীরা ‘তৃণমূল আশ্রিত’। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে বিজেপির জয়ী সদস্যদের শাসকদলে যোগদান করানোর জন্যই ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে মনিন্দ্রনগরে বিজেপির টিকিটে জেতা দুই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা চালায় জনা পনেরো দুষ্কৃতী। ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে এক জন উপেন মণ্ডলের পরিবারের দাবি, বিজেপি নেতার ১২ বছরের ছেলেকে অপহরণের চেষ্টাও করা হয়। বাধা দিতে গেলে শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে। উপেনের স্ত্রী সোমা মণ্ডল বলেন, ‘‘রবিবার গভীর রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়। হুমকি দেয়। আমাদের ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা করে। ওরা বাড়ির সামনে তিন রাউন্ড গুলিও চালিয়েছে।’’
এই ঘটনায় বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। খবর পেয়ে রাতেই উপেনের বাড়িতে পৌঁছন দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার। এর পরে রবিবার রাত ২টো থেকে বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার সকাল পর্যন্ত গড়ায় সেই বিক্ষোভ।
শাখারভ বলেন, ‘‘বিজেপির জয়ী সদস্যদের দলবদলের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করা হচ্ছে। আক্রান্ত পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।’’ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘সব ভিত্তিহীন অভিযোগ । বোর্ড গঠনের আগে বাজার গরম করতে চাইছে।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগ পেলেই নিয়ম মেনে তদন্ত করে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy