চুল দান করার পরে তিন কন্যা। ছবি: মফিদুল ইসলাম
কথায় আছে চুলেই নারীর সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। অথচ ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের মনোবল বাড়াতে একই দিনে নিজেদের মাথার চুল দান করলেন ছয় তরুণী। তাঁদের তিন জনের বাড়ি হরিহরপাড়া এলাকায়। হরিহরপাড়ার কুমিরদহ ঘাট এলাকার বাসিন্দা ঊর্মিলা বিশ্বাস বি.এড প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। তাঁরই প্রতিবেশী বছর পঁচিশের দীপা বিশ্বাস একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তাঁদের বন্ধু গুলসনা খাতুন বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের বাংলা অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তাঁরা সোমবার একসঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য চুল দান করেছেন। পাশাপাশি তাদের আরও তিন বন্ধু এদিন চুল দান করেছেন। জানা গিয়েছে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই তরুণীরা বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত।
তাঁরা ইতিমধ্যে রক্ত যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজনে নিজেরা রক্ত দেওয়ার পাশাপাশি অনেককেই রক্তদানে উৎসাহিত করেন। এদিন চুল দানের পর ঊর্মিলা জানান, ‘‘আমরা মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে রক্ত দিই। একই রকম ভাবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মনোবল বাঁড়াতে চুল দান করলাম।’’
জানা গিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপির পরে অনেক রোগীর মাথার চুল উঠে যায়। ফলে ক্যানসার আক্রান্ত মহিলারা সুস্থ হয়ে উঠলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। লোক লজ্জায় তাঁদের অনেকে মাথার চুল না থাকায় বাইরে বেরোতেও ইতস্তত বোধ করেন। তাদের মনোবল বাড়াতেই এই উদ্যোগ বলে জানান চুল দান কারী তরুণীরা।
গুলসনা বলেন, ‘‘আমাদের দান করা চুল পরে ক্যানসার আক্রান্ত মহিলারা যদি তাঁদের মনোবল ফিরে পান তখনই আমাদের চুল দান সার্থক হবে।’’ মেয়েরা ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের জন্য চুল দান করায় খুশি ঊর্মিলা, দীপা, গুলসনাদের পরিবারের লোকেরাও। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘‘তাঁদের দেখে অনেকেই উৎসাহিত হয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য চুল দান করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy