Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪
arrest

খোঁজ নেই দেহাবশেষের, ধৃত আরও ৩

ডোমকলের আইসি জ্যোতির্ময় বাগচী এবং এসডিপিও শেখ সামসুদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লেবু বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে অনেকটা এলাকা জুড়ে খোঁড়াখুড়ির পরেও কঙ্কালের দেখা মেলেনি।

Picture of the search for the remains is going on in the garden.

বাগানে খোঁজ চলছে দেহাবশেষের। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডোমকল শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:১২
Share: Save:

সোমবার বালিপাড়া কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রাতেই আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এরা তিনজন হল অভিযুক্ত মহিলার স্বামী আমিনুল শেখ, শ্বশুর আসমত শেখ ও তাঁর এক জা। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মাটি খুঁড়ে সাত বছর আগে নিহত রোসপিয়ারের মল্লিকের দেহাবশেষ তুলতে গিয়ে হতাশ হল পুলিশ।

ডোমকলের আইসি জ্যোতির্ময় বাগচী এবং এসডিপিও শেখ সামসুদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লেবু বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে অনেকটা এলাকা জুড়ে খোঁড়াখুড়ির পরেও কঙ্কালের দেখা মেলেনি। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে তদন্তকে ভুল পথে চালিত করতে অভিযুক্তরা বিভ্রান্ত করছে।

তবে পুলিশের দাবি, পরে অভিযুক্তেরা বলে, তারা রোজপিয়ারের দেহ ভৈরব নদে ফেলে দিয়েছে। ওই নদী থেকে আগে একটা কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল। সেই কঙ্কালটির ডিএনএ পরীক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ।সাত বছর আগে ২০১৬ সালে বছরের একেবারে শেষ সময়ে খুন হন বালিপাড়া এলাকার বছর কুড়ির যুবক রোসপিয়ার। ঘটনার পর ডোমকল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে অপহরণের মামলা হলেও সেই সময় তদন্তে নেমে পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আদালতকে জানিয়ে দেয় তাদের ব্যর্থতার কথা। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। ফলে ২০২২ সালে নতুন করে এই ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারক।

তারপরেই আবারও ফাইল খোলা শুরু হয়। ডোমকল থানায় একের পর এক অফিসার আবারও দায়িত্ব নিয়ে শুরু করে তদন্ত। কয়েক মাস আগে এক নতুন অফিসারের হাতে দায়িত্ব পড়ার পরেই বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। আর তারপরে রবিবার সানাউল্লাহ সহ ওই মহিলাকে আটক করে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পরে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। সোমবার তাদের আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় তদন্তের স্বার্থে। হেফাজতে নেওয়ার পরেই জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে নতুন তথ্য। ওই খুনের সঙ্গে মহিলার স্বামী শ্বশুর এবং এক জা জড়িয়ে ছিল বলে স্বীকার করে তারা। ফলে রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ দিন তল্লাশি দেখতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। গোটা এলাকা পুলিশ দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি তদন্তকে বিভ্রান্ত করতেই অভিযুক্তরা কৌশল নিচ্ছে। আরও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোসপিয়ারের পরিবারের সদস্যদের একটাই দাবি, কঠোর শাস্তি দিতে হবে অভিযুক্তদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arrest police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE