ফাইল চিত্র।
খোলা জায়গায় শৌচকর্ম রুখতে বিডিও থেকে প্রশাসনের বহু কর্তাকে হুইসেল বাজিয়ে ছুটতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ বিয়ের কার্ডে পর্যন্ত শৌচাগার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ ভিক্ষের টাকায়, কেউ বাড়ির পোষ্য বিক্রি করে, কেউ ঋণ নিয়ে শৌচাগার তৈরি করেছেন। প্রশাসনের হিসেব বলছে, জেলায় শৌচাগার তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল তা পূরণ হয়েছে। নির্মল ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বারে মুর্শিদাবাদ সফরে এলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাকে নির্মল ঘোষণা করতে পারেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। কিন্তু এখনও জেলার বহু লোকজনকে কোথাও শৌচাগারের অভাবে, কোথাও সচেতনতার অভাবে খোলা মাঠে শৌচকর্ম করতে দেখা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় বেসলাইন সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী যাঁদের শৌচাগার ছিল না তাঁদের একটা বড় অংশকে ভর্তুকিতে শৌচালয় করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিপিএল তালিকাভুক্ত সবাইকে, এপিএল তালিকায় থাকা তফসিলি জাতি, উপজাতি, ভূমিহীন শ্রমিক, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র চাষিকে শৌচাগার তৈরির জন্য ১০ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বেসলাইন সমীক্ষা অনুযায়ী জেলায় শৌচাগার তৈরিতে ভর্তুকি প্রাপকের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ২২ হাজার। এ ছাড়া ভর্তুকি পাওয়ার অযোগ্য, কিন্তু শৌচাগার নেই এমন পরিবার ছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। ভর্তুকি প্রাপক ও ভর্তুকিহীন সংখ্যা মিলিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ ৭০ হাজার শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের দাবি, শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা আগেই পূরণ হয়েছে। এ ছাড়া লোকজন যাতে শৌচাগার ব্যবহার করেন সে বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
এ সব সত্ত্বেও এখনও কেন অনেকের বাড়িতে শৌচাগার নেই? অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ‘‘সমীক্ষা অনুযায়ী শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা আগেই পূরণ হয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিবার তৈরি হচ্ছে। নতুন পরিবারগুলিকে শৌচালয় তৈরির জন্য বোঝানো হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘লোকজন শৌচালয়মুখী হয়েছেন। নজরদারি কমিটিও সক্রিয়।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তিন জন করে কর্মী রয়েছেন। তাঁরা এখনও নজরদারির বিষয়টি দেখছেন। গ্রাম ভিত্তিক নজরদারি কমিটিও রয়েছে। প্রতি মঙ্গলবার সেই কর্মীরা নজরদারি কমিটিকে দিয়ে প্রচার করছেন। যে সব এলাকার খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করত, সে সব এলাকায় বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy