জমজমাট: নৈশ ফুটবলের নেশায় মজেছে বহরমপুর। নিজস্ব চিত্র
তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শেষ চৈত্রে চাঁদিফাটা রোদ্দুরে হাঁটতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে। আর এই সময় কি না ফুটবল!
কথাটা খাঁটি। এ দিকে খেলারও আয়োজন করতে হবে। তাহলে উপায়? তখনই উঠে এল প্রস্তাবটা— খেলাটা যদি রাতে হয়?
হয়ে গেল মুশকিল আসান। গরমের হাত থেকে ফুটবলার ও দর্শকদের রেহাই দিতে রবিবার থেকে শুরু হল নৈশ ফুটবল প্রতিযোগিতা। আয়োজনে বহরমপুর পুরসভা। খেলা হচ্ছে নক-আউট পদ্ধতিতে। কিন্তু সন্ধ্যার পরে এন্তার দর্শক, বিস্তর হইচই, দেদার আলোর মাঝে সেই ফুটবল আর স্রেফ খেলা নয়, রীতিমতো উৎসবের চেহারা নিচ্ছে।
মাঠের তিন দিকে দর্শকদের বসার জন্য কাঠ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে তৈরি করা হয়েছে গ্যালারি। বিকেলের রোদ পড়তেই মাঠে ভিড় করছেন দর্শকেরা। সন্ধ্যায় গোটা মাঠ ভেসে যাচ্ছে আলোর বন্যায়। এমন নবাবি আয়োজনে বহরমপুর কাশিমবাজার স্টেশন লাগোয়া মণীন্দ্র বিটি মিল কেমন যেন অচেনা হয়ে গিয়েছে!
গরমের হাত রেহাই দিতে রাতে ‘মুর্শিদাবাদ ইউএলবি(আরবান লোকাল বডি)নক-আউট ফুটবল আয়োজনে খুশি বহরমপুর, কান্দি, বেলডাঙা, মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর ও ডোমকল পুরসভা দলের ফুটবলার ও কর্মকতারা।
মঙ্গলবার ছিল মুর্শিদাবাদ পুরসভা বনাম জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার খেলা। মাঠে নামার আগে মুর্শিদাবাদ পুরসভা দলের স্ট্রাইকার সাবির আহমেদ বলেন, ‘‘দিনে খেলা হলে একটুতেই কাহিল হয়ে পড়তে হত। এখন রোদের যা তাপ তাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তার চেয়ে রাতে খেলা অনেক স্বস্তির।’’
জিয়াগঞ্জ পুরসভা দলের ম্যানেজার কাজল মণ্ডল জানান, দিনে খেলা হলে দর্শকেরাও আসতেন না। আর মাঠে দর্শকের ভিড় না থাকলে খেলে কোনও মজা নেই। উদ্যোক্তাদের পক্ষে কাউন্সিলর তৃণমূলের শম্ভু ভকত বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম মাঠে অনেক বেশি মানুষ খেলা দেখার জন্য ভিড় করুক। প্রখর রোদের হাত থেকে বাঁচতে খেলার জন্য রাতকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy