বহরমপুরের ডাক্তারের মৃত্যুতে খোঁজখবর নিতে এল চিকিৎসক সংগঠনের কর্মকর্তারা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
চিকিৎসক অনির্বাণ দত্তের মৃত্যুর কারণ জানতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আগেই প্রশাসনের সর্ব স্তরে চিঠি দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম-সহ কয়েকটি চিকিৎসক সংগঠন। এ বারে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের এক প্রতিনিধি দল বহরমপুরে এসে অনির্বাণের মৃত্যুর বিষয় সরজমিনে খোঁজখবর করে গেল। শনিবার দুপুরে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কৌশিক চাকি, সংগঠনের উপদেষ্টা পুণ্যব্রত গুণ-সহ জনা দশেকের চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি দল বহরমপুরে আসেন।
তাঁরা প্রথমে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান, যেখানে প্রথম অনির্বাণের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অনির্বাণের বর্তমান শ্বশুরবাড়ি, পুলিশ সুপারের অফিস, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস এবং বহরমপুর থানায় গিয়ে খোঁজ খবর নেন। একই সঙ্গে তাঁরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং পুলিশ সুপারের উদ্দেশে এ দিন স্মারকলিপি দেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা আগেই ই-মেল করে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলেন। এই ক’দিনে পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অনির্বাণের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ডেকে কথা বলে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কী ঘটনা ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কৌশিক বলেন, ‘‘মৃত্যুর শংসাপত্র লেখার যে নির্দেশ রয়েছে অনির্বাণের ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ ভাবে শংসাপত্রে ‘কার্ডিয়াক ফেলিয়োর’ লেখা যায় না। ময়না তদন্ত হওয়া উচিত ছিল। অনির্বাণের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন হওয়া প্রয়োজন।’’ অনির্বাণের মৃত্যুর শংসাপত্র লিখেছেন বহরমপুরর হোমিয়ো বিশেষজ্ঞ বিভাস কুণ্ডু। শনিবার তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিজেকে বিভাসের মেয়ে পরিচয় দিয়ে এক মহিলা বলেন, ‘‘বাবার শুক্রবার স্ট্রোক হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না।’’
অনির্বাণের একমাত্র দিদি মহুয়া দত্তের বাড়ি বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থেই। মহুয়ার দাবি, ‘‘ঘটনাক্রম দেখে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তাই আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চাই।’’ অনির্বাণের শ্বশুর দাবি করেছিলেন অনির্বাণের পরিবারের কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। অনির্বাণের দিদি বলেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম অনির্বাণের সঙ্গে তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগুক। কিন্ত হঠাৎ করে ১৬ মাস আগে আমার ভাই আমাকে বলেছিল আমি যেন তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখি।’’ শনিবার অনির্বাণের শ্বশুর শান্তব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটি সহজ ঘটনাকে বিকৃত করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy