ইমানি বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের জেলা কমিটি নিয়ে বুধবার জঙ্গিপুর জেলার সভাপতি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস সহ দলের সুতির দুই ব্লক সভাপতি।জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানকে সরাসরি কংগ্রেস ও সিপিএমের দালাল বলে উল্লেখ করে ইমানি বলেন, “তৃণমূলকে বিক্রি করে দিতে চাইছেন তিনি কংগ্রেস ও সিপিএমের কাছে। তাই আগামী লোকসভায় তাকে জঙ্গিপুর থেকে আর আমরা দেখতে চাই না। সাগরদিঘিতে হারের জন্যও তিনিই দায়ী।”
এদিন দলের সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা কমিটি ঘোষণা করছিলেন সভাপতি খলিলুর রহমান রঘুনাথগঞ্জের দলীয় অফিসে। সেখানে হাজির ছিলেন একাধিক বিধায়কের সঙ্গে সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসও। মিনিট দশেক না কাটতেই কমিটির তালিকা পড়ার মাঝেই ৩৮ নম্বরে তহিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা হতেই চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন ইমানি। তাঁর পিছু পিছু সুতির দুটি ব্লকের দুই সভাপতি লতিবুর রহমান ও সিরাজুল ইসলামও বেরিয়ে যান বৈঠক ছেড়ে। তহিরুল একসময় দলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। একসময় ইমানি বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ হলেও এখন তার সঙ্গে সম্পর্ক সাপে নেউলে। অভিযোগ, সুতিতে দলীয় প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে হারাতে চেষ্টা করেছেন যাঁরা তাঁদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। আর তা মানতে না পেরেই এই বিদ্রোহ।
ইমানি বলেন, “আমাদের কাছে কোনও নাম না নিয়ে উনি নিজের মনমত দলকে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির কিছু দালালকে এই জেলা কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। এরা সুতিতে নির্দল প্রার্থীকে মদত দিয়েছিলেন। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামব। আমরা নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি।’’
জঙ্গিপুরের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “এমএলএ হোস্টেলে গিয়ে আমি প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তালিকায় থাকা ৯০ ভাগ নেতাই ইমানি বিশ্বাসের অনুগত। তাঁর ছেলেও রয়েছে কমিটিতে। ওঁদের মতো ভাষায় কাউকে আক্রমণ আমি করতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy