পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানার সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ। রবিবার কালীগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত সমিতির ঘরে ঢুকে তৃণমূল বিধায়ককে হেনস্তা এবং কয়েক জন কর্মীকে পিটিয়ে অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল কিছু কয়েক জনের বিরুদ্ধে। তবে তারা দলেরই অন্য পক্ষের লোকজন বলে তৃণমূলের একাধিক সূত্রের দাবি।
রবিবার বিকেলে ওই ঘটনার পরে তৃণমূলের কয়েকশো নেতাকর্মী কালীগঞ্জ থানার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বিক্ষোভ চলে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কালীগঞ্জ থানার ওসি-কে অপসারণের দাবিও তোলা হয়। দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মহিরুদ্দিন শেখ-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ থামে।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেফালি খাতুন, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়েরা যুব সভাপতি এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দলের সভাপতিদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, এরই মধ্যে কয়েক জন আচমকা হাজির হয়ে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। আমপান ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির কথা তোলে তারা, তাদের কেন আলোচনায় কেন ডাকা হল না, তারও কৈফিয়ত চায়। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডা চলছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ তারা উপস্থিত নেতাকর্মীদের উপরে চড়াও হয়, ঘরের চেয়ার এবং বাইরে থাকা কর্মীদের বাইক-গাড়িও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। এর পরেই তৃণমূল কর্মীরা কালীগঞ্জ থানার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কিন্তু কারা ঘটাল এই ঘটনা? বিরোধীরা তো বটেই, তৃণমূলেরও একটি অংশের দাবি, নানা যোজনার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে পুরনো ও নব্য তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিস আচার্যের টিপ্পনী, “টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ছুটির দিনে কী ভাবে সরকারি অফিস খুলে তৃণমূলের মিটিং হল?“ বিজেপির ১৬ নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি তাপস ঘোষেরও দাবি, “সরকারি টাকা ভাগাভাগি নিয়েই তৃণমূলের মধ্যে এই গোলমাল।“
কালীগঞ্জ ব্লকে তৃণমূলের যুব সভাপতি জিয়ারুল রহমান বলেন, “নানা কাজের বিষয়ে আলোচনা চলার সময়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে অনেক দেরি করেছে।’’ তবে বিধায়কের বিরোধী বলে পরিচিত, তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি নাসিরুদ্দিন আহমেদের দাবি, “দলের সকলকে আলোচনায় ডাকা হয়নি বলেই অশান্তি হয়েছে বলে শুনছি।“ বিধায়ককে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে পুলিশেরও বক্তব্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy