প্রতীকী চিত্র।
আসন সংখ্যার সীমাবদ্ধতার কারণে স্কুলের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সব পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব হয়নি উচ্চ মাধ্যমিকে। সব পড়ুয়াকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে স্কুলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করল ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে জনা চল্লিশ ছাত্রী বিক্ষোভ দেখায়। তবে এতে স্কুলের পঠনপাঠন ব্যাহত হয়নি।
ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে এই বছর ৪০৬ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কলা ও বিজ্ঞান বিভাগ মিলিয়ে ৩৩০ জনকে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পড়ুয়াদের বক্তব্য, এই স্কুলেই তারা পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এখান থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সব ছাত্রীকেই ভর্তি নিতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সাহিনা খাতুন বলে, “আমরা তো এত দিন এই স্কুলেই পড়েছি। এখন স্কুল বলছে, আমাদের সবাইকে ভর্তি নেওয়া হবে না। আমরা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে চাই না। অন্য কোথাও ভর্তির জন্য চেষ্টাও করিনি। এখন আর তা সম্ভবও নয়। স্কুল আমাদের ভর্তি না নিলে বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়ে দেবে।” বিপাশা মণ্ডল, মামনি বসাকেরা বলে, “আমরা এই স্কুলেরই ছাত্রী। উচ্চ মাধ্যমিকেও এখানেই পড়তে চাই। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের সবাইকে এখানে ভর্তি নিচ্ছেন না। আমরা তাঁদের কাছে আবেদনও জানিয়েছি।”
স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সংসদের নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি করা যায় উচ্চ মাধ্যমিকে। সেই কারণে সকলকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ৪০৬ জন মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হলেও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৭৫ জনকে ভর্তি নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে সংসদ। ফল প্রকাশের পরে স্কুলের তরফে এই আসন বৃদ্ধির আবেদন করা সংসদ আরও ৫৫টি আসন বাড়ায়। কিন্তু এর পরেও কিছু পড়ুয়া বাকি থেকে যাচ্ছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সংসদের অনুমোদন করা ৩৩০ জনের চেয়ে বেশি ছাত্রী ভর্তি করা হলে অতিরিক্ত পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমস্যা হবে। গত সপ্তাহেই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা পদ্মা বসাক বলেন, “সংসদের তরফে আমাদের যে আসন অনুমোদন করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি ছাত্রী ভর্তি নিতে পারব না। ফল প্রকাশের পরে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফুলিয়ায় আরও তিনটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল আছে। সেখানেও ভর্তির সুযোগ আছে ছাত্রীদের। আমাদের হাত-পা বাঁধা। না-হলে তো সকলকে ভর্তি নিয়েই নিতাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy