এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
হু হু করে বাড়ছে সীমান্ত পথে সোনার চোরাচালান। মুর্শিদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গের সীমান্ত পথে ১৩ দিনে প্রায় তিন কিলোগ্রাম সোনা ধরা পড়েছে বিএসএফ জওয়ানদের হাতে।
কেন সোনা পাচার এত বাড়ল?
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে পাকা সোনার দাম ভারতীয় টাকায় ৫৭.৪৫ লক্ষ টাকা কিলো। কলকাতায় পাকা সোনার কিলো ৭৫.৬৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কিলোতে তফাত ১৮ লক্ষ টাকা প্রায়। দামের এই বিশাল ফারাকের কারণেই সীমান্তে সোনা পাচার বাড়ছে। তা ছাড়া সামনেই প্রচুর বিয়ে রয়েছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে সোনারও।
এক সময় সোনা পাচারের ঘাঁটি ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। এখন তা ছড়িয়েছে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদেও। তবে গত দু’মাসের মধ্যে এক দিনে সোনা পাচারের রেকর্ড ১১ নভেম্বর নদিয়ার এক সীমান্তে মোটর বাইকের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ৪ কিলো ৬৭১ গ্রাম সোনা আটকের ঘটনা। কলকাতার বাজারে যার দাম প্রায় ৪ কোটি টাকা। বাইক চালককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সোনা পাচারের জন্য তাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদে সোনা পাচারের মূল ঘাঁটি জলঙ্গি ও রানিনগর। মাঝে মধ্যে তা পাচার হয় ভগবানগোলা ও বাহুরা সীমান্ত পথে। ৪ নভেম্বর ৪৬৬ গ্রাম সোনা ধরা পড়ে। এক বাইক চালকের চপ্পলের শুকতলা কেটে সেই সোনা বের করে বিএসএফ। একই ভাবে চরভদ্র ঘাঁটির পিছনে একটি ট্রাক্টরে কাজ করা এক জন কৃষকের কাছে পাচারের জন্য সোনা তুলে দেয় এক জন। সে ট্রাক্টর নিয়ে জমি চাষের পর যখন বাড়ি ফিরছিল বিএসএফ জওয়ানরা ট্রাক্টরটিকে আটকে দেয়। তল্লাশির সময় চালকের সিটের নীচে লুকিয়ে রাখা চারটি সোনার টুকরো পাওয়া যায়।
তবে সেখানেই শেষ নয়। সোনা পাচার ক্রমশ বাড়ছে। অনেক ঝুঁকি নিয়েই সোনা পাচার করা হচ্ছে। সীমান্তে একটি ট্রাকে চালকের আসনের নীচে ও একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে ১.০৪৯ কিলো সোনা আটক করা হয়েছে সম্প্রতি।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের জনসংযোগ আধিকারিক নীলোৎপল পান্ডে জানান, সীমান্তে বিএসএফ তৎপরতা বাড়ানোর ফলেই বিপুল পরিমাণে সোনা সীমান্তে পাচারের পথে ধরা পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy