পুড়ে গিয়েছে বাস। নিজস্ব চিত্র
ট্রেলারে পিষে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চাহিদা নেয় চাকদহ থানার উত্তর পাঁচপোতা এলাকা।
উত্তেজিত মারমুখি জনতা একটি বেসরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রথমে ওই বাসের ধাক্কাতেই যুবক ছিটকে পড়েছিলেন। তার পর তাঁর উপর দিয়ে একটি ট্রেলার চলে যায়। ঘাতক ট্রেলারেও ভাঙচুর চালানো হয়। মৃতদেহ আটকে রেখে উত্তর পাঁচপোতা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সকাল ন’টা থেকে অবরোধ করে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা। এর ফলে রাস্তার দু’ধারে সারি-সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। গোটা এলাকা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। বাস আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করার দাবি জানাতে থাকেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ ঘটনাস্থলে এসে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তার পর অবরোধ ওঠে। তিনি বলেন, “বহু স্কুল পড়ুয়া ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। প্রধানত তাদের কথা ভেবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।”
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আতাব মণ্ডল(৩৪)। তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে খানিক দূরে। তিনি পেশায় এক জন নির্মাণ কর্মী। আর সন্ধ্যায় তিনি চপ বিক্রি করেন। স্থানীয় বাজারে তাঁর চপের দোকান রয়েছে। এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ শিমুরালি বাজার থেকে চপ তৈরির সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় একটি বাস এসে ধাক্কা মারে। তিনি ছিটকে পড়েন এবং ঠিক সেই সময় পাশ থেকে একটি ট্রেলার এসে তাঁকে পিশে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। চাকদহের বিডিও পুস্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ দিনের ঘটনায় মৃত ওই যুবকের পরিবার যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সে ব্যাপারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy