যে শৌচালয় থেকে স্বর্ণাভের দেহ মিলেছিল, আতসকাচ ও টর্চের আলোয় সেই দেওয়াল খতিয়ে দেখছে সিআইডি। ছবি: বিশ্বজিৎ মণ্ডল।
হুগলির গুপ্তিপাড়ার বাঁধাগাছিতে চার বছরের স্বর্ণাভ সাহাকে খুনের কারণ স্পষ্ট হল না মঙ্গলবারও। কী ভাবে শিশুটিকে মারা হয়েছে, তা নিয়েও পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি। এ দিন সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের তিন জনের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওঁরা বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন। তদন্তে কোনও খামতি নেই। পরে ফরেন্সিক দল আসবে।’’
শনিবার সকাল থেকে স্বর্ণাভ নিখোঁজ ছিল। বলাগড় থানার পুলিশ অপহরণের মামলা করে শিশুটির খোঁজ শুরু করে। পর দিন ভোরে বাড়িরই শৌচাগারে দেহ মেলে। খুনের অভিযোগে তার ঠাকুর্দা শম্ভুনাথ, ঠাকুমা চায়না, জেঠিমা টুম্পাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শম্ভুনাথই শৌচাগারে দেহটি প্রথম দেখে সকলকে জানায়। স্থানীয়দের দাবি, আগের রাতেও শৌচাগারে দেহ ছিল না। ফলে কখন দেহটি সেখানে রাখা হল, কেরাখল, তার আগে কোথায় রাখা ছিল— এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সোমবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ধৃতেরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছিল।
মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরা আসেন। শম্ভুনাথ-চায়না এবং টুম্পার ঘর খতিয়ে দেখেন। শৌচাগারেও তদন্ত চালান। ঘণ্টা দু’য়েক ধরে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা ফিরে যান। ঘর দু’টি এবং শৌচাগার ফের সিল করে দেওয়া হয়েছে। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা গেল, দুই ঘরেই জামাকাপড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তদন্ত নিয়ে মুখ খোলেননি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরাও। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত চলছে। আর কিছু বলা যাবে না।’’
তদন্ত চলাকালীন শিশুটির মা সুপ্রিয়া হঠাৎ সংজ্ঞা হারান। স্বামী যাদব এবং তিন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার চোখেমুখে জল দিয়ে শুশ্রূষা করেন। যাদব বলেন, ‘‘যে বা যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের যেন কঠোর সাজা হয়। পুলিশের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’
এ দিন গুপ্তিপাড়া ১ পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় স্বর্ণাভর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শোকপালন করা হয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে। এ দিনও ওই বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট ছিল। থমথমে মুখে ভিড় করেছিলেন পাড়া-পড়শিরা। তাঁদের অনেকের দাবি, পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে বিচারেরব্যবস্থা করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy