Advertisement
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Tehatta

চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভ তেহট্ট হাসপাতালে

রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় চাপড়া থানার হাটরার বাসিন্দাকে। শ্বাসকষ্টের জন্য তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল।

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩২
Share: Save:

রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক এবং নার্সদের কর্তব্যে গাফিলতির কারণে প্রাণ হারিয়েছেন রোগী। শনিবার সকালে এ নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তাঁরা। আবার বিক্ষোভ চলাকালীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তেহট্ট থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় চাপড়া থানার হাটরার বাসিন্দা আহম্মেদ দফাদারকে। শ্বাসকষ্টের জন্য তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের দাবি, কয়েক’টা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার কিছু ক্ষণ পরেই রোগীর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরেও চিকিৎসক এবং নার্সেরা তাতে গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। এর কিছু ক্ষণ পর আইসিইউ-এ নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় রোগীর।

মৃতের ছেলে জনি দফাদার বলেন, ‘‘বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে নার্সের সঙ্গে কথা বলতে যাই। উনি কথা বলা তো দূরের কথা, উল্টে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। বাবার কাছাকাছি ছিলেন একজন নার্স। তাঁকে বিষয়টি জানালে তিনিও রোগীকে না দেখে চলে যান। তার পর একজন চিকিৎসক বাবাকে আইসিইউতে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পর আমার বাবা মারা যান। আমাদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই আমার বাবা মারা গিয়েছেন। সঠিক ভাবে চিকিৎসা হয়নি।’’

এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি বলেন, ‘‘রোগীর পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। কোনও রকম গাফিলতি থাকলে নিশ্চিত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Tehatta Hospital patient death Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy