Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Illegal Arms

Arrest: দল বদলে উত্থান রথীনের

পুলিশের ধারণা, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেই তিনি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছিলেন।

রথীন মল্লিক।

রথীন মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাঁসখালি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২২ ০৬:৫২
Share: Save:

পুলিশি তৎপরতার প্রথম দিনেই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হওয়া রথীন মল্লিক গোড়ার দিকে কংগ্রেস করতেন। সেই সময়ে তাঁদের কৈখালি এলাকারই বাম আমলের দাপুটে কংগ্রেস নেতা বিমল বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে বগুলা বাজারে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যান রথীনের স্ত্রী রাজেশ্বরী মল্লিক।

সেই ঘটনাকে নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। তদন্তের মুখে পড়েন হাঁসখালি থানার তৎকালীন ওসি পিন্টু সরকার-সহ একাধিক অফিসার। সেই সঙ্গে রথীনও প্রচারের আলোয় চলে আসেন। সামান্য কংগ্রেস কর্মী থেকে ধাপে-ধাপে তাঁর উত্থান শুরু হয়। বিমলবাবুর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। একটা সময় তিনি বিমলবাবুর সঙ্গ ছেড়ে দেন।

এরই মধ্যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা দুলাল বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দেন। পরে তিনি তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতিও হন। যদিও বগুলায় দলীয় কার্যালয়েই দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। বিমল বিশ্বাসের সঙ্গে দুলাল বিশ্বাসের বিবাদ দীর্ঘ দিনের। সুযোগ বুঝে রথীন বিমলের সঙ্গ ত্যাগ করে দুলালের নৌকায় উঠে পড়েন। দুলালবাবুর ছত্রচ্ছায়ায় তৃণমূলের অন্দরেও তাঁর উত্থান ঘটতে থাকে। ২০১৮ সালে তিনি বগুলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৈখালি এলাকা থেকে তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। দুলাল বিশ্বাস খুন হওয়ার পর রথীন নিজেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছিলেন। পুলিশের ধারণা, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেই তিনি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Illegal Arms
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy