—প্রতীকী চিত্র।
আর জি করের চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। সোমবার কলকাতায় গ্রেফতার করা হল আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চেয়ে পথে নামলেন হাজারো মানুষ। অনেক প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের যেমন সমালোচনা হচ্ছে, তেমনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও উঠছে। এমন আবহে তৃণমূল থেকে মানুষ কি মুখ ফেরাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলও আর জি কর নিয়ে পথে নেমেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আন্দোলন করে কতটা জমি তাঁরা ফিরে পেলেন?
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অন্য জেলার সঙ্গে মুর্শিদাবাদেও তৃণমূল আন্দোলন কর্মসূচি করছে। গত ৩০-৩১ অগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর এই তিন দিন ধরে তাঁরা জেলা জুড়ে আর জি কর ইস্যুতে কর্মসূচি করেছেন। বিরোধীদের দাবি, বাংলার তথা মুর্শিদাবাদের মানুষ তৃণমূলকে বুঝে গিয়েছে। যার জেরে তাঁরা মানুষের মুখ ফেরানো আটকাতে পারছেন না।
যদিও বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর জি করের ঘটনায় বিচার চেয়ে দলীয় কর্মসূচির নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের দলের গত তিন দিনের ঘোষিত সেই কর্মসূচি অত্যন্ত সফল হয়েছে। দলের সকল স্তরের নেতৃত্ব, কর্মী, সমর্থকদের এসব কর্মসূচিতে উপস্থিতির হার খুব ভাল ছিল।’’
অপূর্বর দাবি, ‘‘আমাদের দল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে বলে বিরোধীদলগুলো অপপ্রচার করছে। বাস্তবে প্রায় প্রতিদিনই বিরোধীদলের কর্মী, সমর্থক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন।’’
অপূর্ব জানান, ‘‘আমরা আর জি করের ঘটনার বিচার চাই এবং ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার মামলার ৫০ দিনের মধ্যে কঠোর শাস্তির আইন চাই। সেই দাবিতেই আন্দোলন চলছে।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বাসিন্দারা আন্দোলনে নেমেছেন। রাজ্যের মানুষ চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। সেই দাবিতে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন রাস্তায় নামছেন। মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তৃণমূল মিছিল করছে। তবে মানুষ তাদের অপকর্মের কথা বুঝে গিয়েছেন। তাই এ সব মিটিং মিছিল করে তৃণমূলের লাভ হবে না।’’
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘বাংলায় নবজাগরণে সবাই যখন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। তখন রাজ্য সরকারের অপদার্থতা ঢাকার জন্য ‘আমরা তোমাদের লোক’ এই বার্তা দিতেই তৃণমূল নানা কর্মসূচি করছে। এই ধরনের ঘটনা কঠোর হাতে দমন না করে, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিচার চাইছেন।’’
জয়ন্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে পার্ক স্ট্রিট থেকে কামদুনি-সহ অনেক জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মানুষ বিচার পাননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy