মাথার উপর টালির চাল। আবেদন করেও পাকা ঘর মিলছে না বলে অভিযোগ। চাকদহের তাতলায়। নিজস্ব চিত্র
তিন বার এসে ঘরের ছবি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও আবাস যোজনার ঘর পাননি তাঁরা।
চাকদহ ব্লকের মহানালা এলাকায় টালির চাল দেওয়া ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ করছিলেন যমুনা সর্দার। তাঁর মতো তফসিলি জনজাতি পরিবারের অনেকেই এখনও ঘর পাননি বলে অভিযোগ।
চাকদহের তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হুদা, মহানালা, ইছাপুর, পলাগাছা, ইটাপুকুর, ধনিচা উত্তর ও দক্ষিণ, ঘোলা, মশরার মতো জনজাতি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকা এ রকম ভূরি-ভূরি অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। টালির চাল দেওয়া ঘর দেখিয়ে তাতলা রায়পাড়ার বাসিন্দা পুষ্প রায় বলেন, “দেখছেন, ঘরের কী অবস্থা? শুনছি, অনেকের পাকা ঘর হয়েছে। আমরা অপরের ঘর পাওয়ার কথা শুনেই আনন্দে থাকি। আমাদের আর ভাগ্য ফেরে না।”
এই ধরনের অভিযোগ কানে যাওয়ায় গত শনিবার রানাঘাটের সভামঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত প্রধান পার্থপ্রতিম দে-কে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিনই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। সোমবার তিনি বলেন, “সবাই ঘর পাননি। প্রতিটি তফিসিলি জনজাতি এলাকায় ৪০-৫০টি করে পরিবার ঘর পেয়েছে। আগামী দিনে বাকিরা পাবে।”
চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপকুমার সরকার বলেন, “আবাস যোজনার ঘর নিয়ে গেল-গেল রব শুরু হয়েছে। এখনও কেউ কিছু পায়নি। তালিকা দেখে মেলানোর কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা পাবেন।” চাকদহের বিডিও অতনু ঘোষ বলেন, “বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা করে অনেক পাকা ছাদ দেওয়া ঘর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ফলে নতুন করে কিছু মানুষকে ঘর দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy