সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
এর আগেও ‘দত্ত’দের নাম করে পোস্টার পড়েছিল কৃষ্ণনগরে। তবে সরাসরি কারও নাম করা হয়নি। এ বার তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত ও তাঁর ছেলে অয়ন দত্তের নাম করে পোস্টার দেওয়া হল তেহট্টেও।
শুক্রবার তেহট্ট আদালতের সামনে এই পোস্টার দেখা যায়। যেখানে ‘অসহায় বেকারদের চাকরি দেওয়ার নাম করে’ গৌরী দত্ত ও অয়ন দত্ত টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আরও লেখা হয়েছে, ‘গৌরী দত্ত ও পাপ্পু অয়ন দত্ত বিজেপি হলে ভোট দেব তৃণমূলে’। তার নীচে লেখা ‘জনগণের কণ্ঠ’।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির দিকে পা বাড়ানো ইস্তক তৃণমূলের কিছু জেলা নেতার মতিগতি নিয়ে দলের ভিতরেই জল্পনা চলছে। তার ফায়দা তুলছে বিজেপিও। কিন্তু তৃণমূলের বড় নেতারা তাদের দলে চলে এলে তাঁরা গুরুত্বহীন হয়ে যাবেন বলে বিজেপির পুরনো নেতারা আশঙ্কা করছেন। এই পোস্টারে অনেকটা তেমনই শঙ্কার কথা প্রকাশ পেয়েছে।
ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে— ‘পদ্মকলি থেকে যারা পদ্মফুল ফোটাল তারা আজ আসামি। তৃণমূল থেকে এসে আজ হবে বিজেপি দলের স্বামী???’ লেখা হয়েছে— ‘বেঁচে থাকা এবং শহিদ হওয়া বিজেপি কর্মীদের সম্মান করুন’। ফলে অনেকেরই ধারণা, বিজেপিরই একটি অংশ এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। আবার উল্টো দিকে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী পোস্টার দিয়ে বিধায়ক ও তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করার চেষ্টী করছে, এমন সম্ভাবনাও সকলে উড়িয়ে দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিশ্বরূপ রায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তেহট্ট বিজেপির জেডপি ৯-এর প্রাক্তন সভাপতি সজল ঘোষ দাবি করেন, “এই পোস্টর তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলেরই ফল। এই কাজ বিজেপির কেউ করবে না। কেননা আমাদের পুরনো কর্মকর্তাদের সম্মান দেওয়া হয়।”
পোস্টারের বিষয়ে গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” দল পাল্টানো প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে রয়েছি। থাকবও। বেনামি পোস্টার নিয়ে মন্তব্য করতে আমি ইচ্ছুক নই।” অয়ন বলেন, “ওই পোস্টারের সমস্ত কথাই ভিত্তিহীন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy